অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় একটি বৃত্তি হলো ‘শেভেনিং স্কলারশিপ’। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শেভেনিং বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এবছর এ বৃত্তির আবেদনের শেষ দিন আগামী ৩ নভেম্বর। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। এছাড়া এবছর বিশ্বের ১ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী এবার বৃত্তি পাবেন। বৃত্তির বিস্তারিত জানা যাবে chevening.org ওয়েবসাইট থেকে।
যুক্তরাজ্যের ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও) ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ বৃত্তির জন্য অর্থায়ন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন এমন যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণদের বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দেয় শেভেনিং বৃত্তি। এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের একটি নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়।
শেভেনিং স্কলারশিপের প্রধান নওমি রায়নার বলেছেন, ‘এ বছরের অনেকটা সময় চলে গেছে। আমরা দেখেছি, বিশ্বে উদ্ভাবনের চ্যালেঞ্জ, যোগ্য নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কীভাবে বাড়ছে। শেভেনিং এসব মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গড়ে তুলতে চায়, যারা ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে ধাবিত হবে। আমরা বিশ্বজুড়ে অবিশ্বাস্য মানুষদের একত্র শিক্ষার মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে চাই।’
এ বৃত্তি পেলে যুক্তরাজ্যের ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য অধ্যয়ন করতে পারবেন। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা, নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা, নিজের দেশ ও সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাবের দিকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে শিক্ষার্থীদের দুই বছর কাজের অঙ্গীকার করতে হয়।
বৃত্তি যাঁরা পাবেন, তাঁদের উদ্দেশে শেভেনিংয়ের পরিচালক মিরান্ডা থমাস বলেছেন, ‘আমরা আপনার জন্য একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করি, যা আপনাকে ব্রিটেনের এতিহ্য এবং ইতিহাসের অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নীতি নিয়ে একাডেমিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে আপনাকে অভ্যস্ত করে তুলবে। এর আগে বৃত্তিপ্রাপ্তরা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট পরিদর্শন করেছেন, লন্ডনের গ্যালারিগুলোতে শিল্পের প্রদর্শনী দেখেছেন। বিবিসিতে ইন্টার্ন করেছেন।’
এ বছরের অনেকটা সময় চলে গেছে। আমরা দেখেছি, বিশ্বে উদ্ভাবনের চ্যালেঞ্জ, যোগ্য নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কীভাবে বাড়ছে। শেভেনিং এসব মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গড়ে তুলতে চায়, যারা ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে ধাবিত হবে। আমরা বিশ্বজুড়ে অবিশ্বাস্য মানুষদের একত্র শিক্ষার মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে চাইশেভেনিং স্কলারশিপের প্রধান নওমি রায়না বৃত্তির যোগ্যতা শেভেনিং বৃত্তির আবেদনের জন্য যোগ্যতা হিসেবে পড়াশোনাকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা হয় বৃত্তির ক্ষেত্রে। বৃত্তির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আবেদনের নিয়ম
যুক্তরাজ্য সরকারের শেভেনিং বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনের মাধ্যমে। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্সে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন। ইংরেজি ভাষায় দুটি রেফারেন্স লেটার বা সুপারিশপত্র, পাসপোর্ট/ জাতীয় পরিচয়পত্র, সর্বশেষ পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভর্তির ‘অফার লেটার’ সংযুক্ত করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের পর মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে। chevening.org ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করা যাবে।
খেয়াল রাখতে হবে
আবেদনের সময় সব তথ্য ঠিকঠাকভাবে দিতে হবে।
নেটওয়ার্কিংয়ের দক্ষতা, আগামী দিনের নেতৃত্বদানের সম্ভাবনা বৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়।
আপনি যদি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেটিও কাজে আসবে।
আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
Discussion about this post