আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে পাঠানো একটি চিঠিতে রাইসিন নামক এক মারাত্মক বিষাক্ত পদার্থ মেশানো ছিল বলে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। তবে হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর আগেই সেই চিঠি জব্দ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ঠিকানায় পাঠানো যে কোন চিঠি সেখানে পৌঁছে দেয়ার আগেই তা পরীক্ষা নিরীক্ষার সেখানে একটি আলাদা কার্যালয় রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় বিষ শনাক্ত হয়।
রাইসিন কোনভাবে খেয়ে ফেললে, নিঃশ্বাসের সঙ্গে অথবা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মাথা ঘোরা, বমি শুরু হয়। এরপর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে। কতটুকু পরিমাণ রাইসিন শরীরে প্রবেশ করেছে তার ওপর নির্ভর করে ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটে।
রাইসিনের বিষক্রিয়া প্রতিরোধে কোন প্রতিষেধক নেই। ল্যাব পরীক্ষাতেও রাইসিনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস চিঠির প্রেরককে খুঁজে বের করতে তদন্ত চালাচ্ছে।
অন্য আরও কাউকে একই ধরনের চিঠি পাঠানো হয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করছে সংস্থা দুটি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এফবিআই জানিয়েছে যে, আপাতত কোন ধরনের ঝুঁকি তারা দেখছেন না।
সিডিসি বলছে, রাইসিন দিয়ে তৈরি গুড়ো ও স্প্রে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রে এর আগেও হোয়াইট হাউসের ঠিকানায় রাইসিন মেশানো চিঠি পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও অন্যান্য কয়েকজন কর্মকর্তাকে রাইসিনের গুড়ো মেশানো চিঠি পাঠানোর দায়ে ২০১৪ সালে মিসিসিপির এক ব্যক্তিকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়
এর চার বছর পর ২০১৮ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর ও হোয়াইট হাউসে একই ধরনের চিঠি পাঠানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয় একজন সাবেক সেনা সদস্যকে।
Discussion about this post