আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছে। তবে তুরস্ক বলছে, তারা এই সমস্যার সমাধান চায়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, গ্রিসের শীর্ষ নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করতে প্রস্তুত তুরস্ক। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করেই সাম্প্রতিক সময়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে ন্যাটোর সদস্যভূক্ত এই দুই দেশ। এ বিষয়ে গ্রিসের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছে তুরস্ক।
এদিকে, শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে। তিনি জানান, তার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা জরুরি।
তিনি বলেন, গ্রিস চাইলে আমরা সাক্ষাত করতে পারি। তিনি আরও বলেন, আমরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলতে পারি অথবা তৃতীয় কোনো দেশে আলোচনায় বসতে পারি।
এদিকে, শুক্রবার আরও পরের দিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, আঙ্কারায় নিযুক্ত গ্রিসের রাষ্ট্রদূত মাইকেল-ক্রিসটস ডায়ামেসির ওপর সমন জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কিন্তু কিছুদিন আগেই গ্রিক দ্বীপ কাস্তেলোরিজো উপকূলে তুরস্ক তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ওরাক রেইস নামে একটি জাহাজ পাঠানোর পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। জাহাজটির নিরাপত্তায় সঙ্গে রয়েছে তুর্কি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের ছোটখাটো একটি বহর।
গ্রিসও তুর্কিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে ওই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা সংঘর্ষ বেধে যায়। গ্রিস এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বললেও তুরস্ক এটিকে উসকানি বলে দাবি করেছে।
এদিকে, তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনার বিষয়ে শুক্রবার গ্রিক প্রধানমন্ত্রী নিকোস ডেনডিয়াস বলেন, তার দেশ বিশ্বাস করে যে, এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হওয়া উচিত এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, ওই এলাকায় জোর করে কারও বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করা অবশ্যই উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী নিকোস বলেন, তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করতে গ্রিস সব সময়ই প্রস্তুত।
Discussion about this post