নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা মহামারির কারণে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েটরা তাদের অর্জিত ডিগ্রির স্বীকৃতি সমাবর্তনসহ পাচ্ছেন না। মূল সনদপত্রের পরিবর্তে সাময়িক সনদপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হচ্ছে তাদের।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, করোনার এই মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন আয়োজন করা যাবে না। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নির্দেশনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ ব্যাপারে সম্মতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সমাবর্তন আয়োজনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতির কাছে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে করোনা মহামারির মধ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমাবর্তন আয়োজনের এই প্রস্তাবে সায় দেননি রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তবে উনার অনুপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমতি প্রয়োজন হয়।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (শাখা-১) থেকে ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ঢাকা-এর ৫ম সমাবর্তন আয়ােজন’ শীর্ষক এক স্মারকে বলা হয়েছে, “উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করেছেন, ‘করােনা পরিস্থিতির কারণে এ সময় সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা সমীচীন হবে না।”
“এমতাবস্থায়, মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা ও অনুশাসন সদয় অবগতির জন্য প্রেরণ করা হলাে। উল্লিখিত অনুশাসন প্রতিপালন এবং একইসঙ্গে করােনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয্য সাপেক্ষে পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে, সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হলাে।”
এর আগে রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (শাখা-১) থেকে ‘ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি-এর ২য় সমাবর্তন আয়ােজন’ শীর্ষক আরেক স্মারকেও একই বিষয়টি তুলে ধরেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্মারকের অনুলিপি সদয় অবগতি ও প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
Discussion about this post