নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের কারণে ছয় মাসের বেশি সময় বন্ধ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সে আলোকে শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। ওই মতামতের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আগামী রোববার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে সব বিদ্যালয় একসাথে খুলবে না। ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পাশাপাশি পালাক্রমে ক্লাস নেয়ার নির্দেশনা আসতে পারে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তামূলক নির্দেশনাও দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনামূলক চিঠি ইতোমধ্যে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রধান শিক্ষকদের নিকট পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারদের নিয়ে সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের মতবিনিময় সভা হয়েছে।
সভার মতামত সামারি করে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। পরে ডিপিইতে জমা হওয়া মতামত এখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে বলেছেন, বেশ কয়েকটি জেলার শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাথে ইতোমধ্যে মতবিনিয়ম করেছি। তারা নানা ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন। অনেকে জেলা পর্যায়ের ২৫ শতাংশ বিদ্যালয় খোলার প্রস্তাব জানিয়েছেন। সবার পরামর্শের আলোকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে সভা করা হবে। এরপরেই আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
শিক্ষকরা বলছেন, স্কুল খোলার কমপক্ষে ১৫ দিন আগে শিক্ষকদের নিয়ে স্কুল পরিচালনা করতে হবে। বলতে গেলে রিহার্সেল করতে হবে। কীভাবে শিশুরা আসবে, অভিভাবকদের দায়িত্ব কী, কীভাবে শিশুদের পাঠদান ও নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করা হবে, এসব বিষয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতির ব্যাপার থাকবে। তারা এমন মতামত দিয়েছে।
জানা গেছে, জেলা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার পক্ষেও মতামত এসেছে। পরে পর্যায়ক্রমে ৫০ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ খুলে দেওয়া হবে। আবার করোনা পরিস্থিতি শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আসার পর সব বিদ্যালয় খুলে দেয়ার পক্ষে একটি অংশ।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে। শিশুরা এমনিতেই সংবেদনশীল, তাদের ঝুঁকিও বেশি। এরপরও সব দিক বিবেচনা করেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কীভাবে চালু করা যায়, সে বিষয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে।
Discussion about this post