নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ২০ আগস্ট শেষ হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারীর মেয়াদ। সে হিসেবে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শূণ্য বিশ্ববিদ্যালয়টি শীর্ষ এ পদটি। তথ্যমতে, ইবিতে এ পর্যন্ত মোট ১২ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছে। যদিও এদের মধ্যে ১১ জনই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগের দায়ে উপাচার্য পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে তাদের।
এদিকে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই পদটি পেতে হাফ ডজন সিনিয়র শিক্ষক দৌড়ঝাঁপ নেমেছেন। যে তালিকায় রয়েছেন সদ্য সাবেক অধ্যাপক ড. আসকারীরও; দ্বিতীয়বার উপাচার্য হওয়ার জন্য তার চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। তালিকায় আছেন সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. সেলিম তোহা। সেই সঙ্গে দুই মেয়াদে উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান চেষ্টা করছেন পদটিতে আসার জন্য।
তবে সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনায় চলে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের একাধিক নেতাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র বলছে, ইবি উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের নিয়োগের বিষয়টিতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর দু-একদিনের মধ্যেই তা প্রজ্ঞাপন আকার প্রকাশ পেতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম জানান, আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে পদায়ন করা হলে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করব।
Discussion about this post