নিজস্ব প্রতিবেদক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে নিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই কলেজ শিক্ষককের সেপ্টেম্বর মাসের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থায়ীভাবে এমপিও বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কেনও সংশ্লিষ্ট দুই শিক্ষকের এমপিও স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না, তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো দুই শিক্ষক হচ্ছেন— চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন ও কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক নোমান সিদ্দিকী।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর তৈরি চিঠি আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপেটম্বর) ওই দুই শিক্ষকের নামে জারি করা হয়। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এই দুই শিক্ষকের এমপিও বন্ধ করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। একইসঙ্গে কেন তাদের এমপিও স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না, সে মর্মে কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছিল।
ওই নির্দেশের পর ঘটনাটি তদন্তের ব্যবস্থা নেয় মাউশি। কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে অপ্রচারের প্রমাণ মেলে।
তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনা প্রমাণের পর চলতি সেপ্টেম্বর মাসের বেতন সাময়িক স্থগিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। একইসঙ্গে কেন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না, তা চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে চাঁদপুর মডেল থানায় আইসিটি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় দুই শিক্ষককে আটক করেছিল পুলিশ।
Discussion about this post