নিউজ ডেস্ক
আইসিডিডিআর,বির আন্তর্জাতিক বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. তাহমিদ আহমেদকে পরবর্তী নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছে। এর মধ্য দিয়ে ড. তাহমিদ আহমেদ আইসিডিডিআর,বির ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নির্বাহী পরিচালক পদ পেতে যাচ্ছে।ড. তাহমিদ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী পরিচালক পদে প্রফেসর ক্লেমেন্সের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। বুধবার আইসিডিডিআর,বি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ড. তাহমিদ আইসিডিডিআর,বির ৬০ বছরের গৌরবময় ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নির্বাহী পরিচালক পদকে অলংকৃত করবেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আইসিডিডিআর,বির প্রথম বাংলাদেশি নির্বাহী পরিচালক হওয়া নিঃসন্দেহে একটি গৌরবের বিষয়। আইসিডিডিআর,বি একটি আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান। আমি গর্বিত দেশি-বিদেশি ৪ হাজার জনেরও অধিক কর্মীর একটি দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠানটিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে, যা আমাদের গবেষণার ব্যাপ্তি আরও বিস্তৃত করবে।
আইসিডিডিআর,বির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ন্যান্সি ওয়াই চেং বলেন, ড. আহমেদ একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, যিনি বিশ্ব জনস্বাস্থ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ সম্মানিত। আমি নিশ্চিত যে তার নেতৃত্বে আইসিডিডিআর,বি বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং মানুষের স্বাস্থ্য সুবিধা উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
ড. তাহমিদ ১৯৮৫ সালে আইসিডিডিআর,বিতে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আইসিডিডিআর,বির নিউট্রিশন ও ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর নিযুক্ত হন। কোভিড-১৯ মহামারীর শুরু থেকে নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন ক্লেমেন্সের নির্দেশনায় ড. তাহমিদ আইসিডিডিআর,বি-র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুষ্টি বিষয়ক গবেষণায় ড. তাহমিদ আহমেদ একজন শীর্ষস্থানীয়় বিজ্ঞানী। এক্ষেত্রে তার ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা। তার গবেষণা এবং এর বাস্তবায়নে শিশুদের অপুষ্টি, যক্ষ্মা এবং ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা সহজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ড. আহমেদ শিশুদের তীব্র অপুষ্টি ও ডায়রিয়া চিকিৎসায় একটি প্রোটোকল তৈরি করেন যার ফলে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও তিনি স্থানীয় খাদ্য উপাদান দিয়ে সহজে ব্যবহারযোগ্য (রেডি-টু-ইউস) এক ধরনের খাদ্য তৈরি করেছেন যা তীব্র অপুষ্টি প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ৩৬০টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
Discussion about this post