নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত বছরের মে মাসে। তবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রায় ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রকাশিত হয়নি পরীক্ষার ফল। পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস ও কোর্স সম্পন্ন হলেও নেওয়া হচ্ছে না পরীক্ষা।
এ পরিস্থিতির শিকার হয়ে দীর্ঘ সেশনজটের শঙ্কা ও চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বিভাগটিতে অধ্যায়নরত প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী। অথচ উদ্ভিদবিদ্যা, বাংলাসহ অনেক বিভাগই চলমান পরিস্থিতির মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে অনলাইন ক্লাসের তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরীক্ষা কবে শেষ হয়েছে তাও মনে নেই অনেক শিক্ষার্থীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষকদের অদক্ষতা ও অন্তর্কোন্দলের ফলেই সৃষ্টি হয়েছে এ ফলাফল জটিলতার।
প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী নাম না জানানোর শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যথাসময়ে আমাদের রেজাল্ট দেওয়া হলে আমরা এখন দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে থাকতাম। অথচ এখনও প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারেই পড়ে আছি। এখন রেজাল্ট যদি দ্রুত সময়ে দিয়েও দেয় তাহলেও আমাদের যে ক্ষতি হয়ে গেছে সেটা পুষিয়ে দেবে কীভাবে?’
জানা যায়, পরীক্ষা চলাকালীন ওই বিভাগের চার বর্ষেরই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. গোলাম কবীর। পরে তিনি পদত্যাগ করলে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হন বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। আর তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
এ বিষয়ে ড. মু. গোলাম কবীর বলেন, ‘আমি তো এখন কমিটিতে নেই, তাই কিছু বলতেও পারছি না। তাছাড়া আমার স্মৃতিতেও নেই ওগুলো।’
রেজাল্ট জটিলতার ব্যাপারে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘রেজাল্ট দেওয়া নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল তা নিরসন হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। অতি শিগগিরই রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।’
Discussion about this post