ক্রীড়া ডেস্ক
করোনাভাইরাস বড় বাধা হলেও, গত দুই আসরের ন্যায় এবারও ‘ওম্যানস টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ’ নামে নারী আইপিএলের আয়োজন করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। পুরুষ আইপিএলের শেষ সপ্তাহে ছয়দিনের মধ্যে চার ম্যাচ দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবারের নারী আইপিএল।
গত আগস্টেই বিসিসিআই জানিয়েছিল, তিন দলের অংশগ্রহণে চার ম্যাচের এই টুর্নামেন্টটি হবে মূল আইপিএলের প্লে-অফ রাউন্ডের সময়। সেই মোতাবেক আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে আরব আমিরাতেই হবে নারী আইপিএলের তৃতীয় আসর। এমনটাই জানাচ্ছে ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।
পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে নারী ক্রিকেটারদেরও আমিরাতে পৌঁছে ছয়দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যেখানে প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম দিনে করা হবে করোনা টেস্ট। এই তিন টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এলে সপ্তম দিন থেকে মাঠে নামতে পারবেন ক্রিকেটাররা।
নারী আইপিএলের এবারের আসর নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি বিসিসিআই। টুর্নামেন্টের স্কোয়াড ও ফিকশ্চার খুব শিগগিরই জানানো হবে। তবে জানা গিয়েছে, মূল আসরের খেলায় মাঠে নামার আগে প্রতি দল নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রেনিং সেশনের সুযোগ পাবে। যা কি না প্রতি দলের জন্য ৪টি করে হতে পারে।
সেপ্টেম্বরে পুরুষ আইপিএলের জন্য ঘোষিত সূচিতে শুধুমাত্র লিগ রাউন্ডের ৫৬ ম্যাচের দিনক্ষণ জানানো হয়েছে। পরে প্লে-অফ রাউন্ডের সূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছিল বিসিসিআই। তবে আগেই জানা, এবারের আইপিএলের ফাইনাল হবে ১০ নভেম্বর। তাই এর আগেই যে নারী আইপিএল শেষ করা হবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এদিকে নারী আইপিএল শুরুর আগে দেখা দিয়েছে একটি বিপত্তি। সূচি মিলে গেছে অস্ট্রেলিয়ার নারী বিগ ব্যাশ লিগের সঙ্গে; যা শুরু হবে ২৫ অক্টোবর থেকে। এর ফলে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটারদের নাও পাওয়া যেতে পারে এবারের নারী আইপিএলে।
তবে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং ইংল্যান্ড থেকে ক্রিকেটার ঠিকই থাকবে নারী আইপিএলের এবারের আসরে। গত আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার জাহানার আলম। এবারের আসরে আরও কয়েকজন ক্রিকেটার সুযোগ পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Discussion about this post