ক্রীড়া ডেস্ক
আইসিসি থেকে পাওয়া নিষেধাজ্ঞার একদম শেষপ্রান্তে চলে এসেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চলতি মাসের ২৯ তারিখে সাজামুক্ত হয়ে যাবেন তিনি। আশা ছিল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করবেন দেশের ক্রিকেটের এই রাজপুত্র।
এ সিরিজে খেলার জন্য গত মাসের শুরুতে (২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন সাকিব। নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের হাতেখড়ি যেখানে, সেই বিকেএসপিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় এক মাস করেছেন নিবিড় অনুশীলন। সবার মতো তিনি নিজেও আশায় ছিলেন শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে মাঠে ফেরার।
এখন যেহেতু সিরিজ বাতিল হয়ে গেছে, তাই আর দেশে থাকছেন না সাকিব। আজ (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে তিনি চলে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন যিনি, সেই ওয়াসিম খান জাগোনিউজকে জানিয়েছেন এই তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্রে দুই কন্যাকে নিয়ে অবস্থান করছেন তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। করোনাকালের শুরু থেকে সাকিব নিজেও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রেই। গত মার্চে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সফর শেষ করে অল্প কিছুদিনের জন্য দেশে ফিরেছিলেন সাকিব। এরপর পরিবারের সঙ্গে থাকতে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে।
তবে ক্রিকেটে ফেরার তাড়া থেকেই সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ দেশে ফিরে আসেন সাকিব। পরে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে নিজ গরজে শুরু করেন ব্যক্তিগত অনুশীলন। যেখানে তার সহযোগিতায় ছিলেন বিকেএসপি জীবনে তার কাছের দুই কোচ ও গুরুতুল্য নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজ স্থগিত হওয়ায় অনুশীলনে ইস্তফা দিয়ে আবার যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সাকিব।
তবে সাকিবের প্রথম জীবনের শিক্ষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম এই প্রতিবেদককে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন, প্রায় এক মাসের মতো দুর্দান্ত ট্রেনিং সেশন হয়েছে। তার দেখা অন্যতম সেরা ট্রেনিং সেশন ছিল এটি। তবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ২৮ অক্টোবরের আগে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। এতে আইসিসির পরিষ্কার বিধিনিষেধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, নাজমুল আবেদিন ফাহিমের সঙ্গে এই কথোপকথন পুরোটাই ব্যক্তিগত আলাপচারিতার অংশ। এটি কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য নয়। খুব শিগগিরই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানিয়ে দেবেন, ২৮ অক্টোবরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবের বিষয়ে কথা বলতে পারবেন তিনি।
Discussion about this post