ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিভাগের চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা বাকি আছে, সেগুলো দ্রুত নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগ নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘পরীক্ষাটাও লাগবে, আবার কোর্সগুলোর ক্লাসও রীতিমতো লাগবে। আমরা শিক্ষার্থীদের একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখতে চাচ্ছি। আবার রিভিজটও করা লাগে। আমরা কোনো ছেলেমেয়েকে বাদ দিয়ে পরীক্ষাও নেব না, ক্লাসও করাবো না। তবে আমরা সময়টাকে ব্যবহার করতে চাই, যাতে ছেলেমেয়েরা এনগেজ থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিনদেরকে বলেছি, রিভিজিট করেন। করোনার পরে এটি আবারও করা হবে। লিখিত পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারিনি। নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি ছাড়া এটা নিতে পারবো না। যাদের চতুর্থ বর্ষ বা মাস্টার্স শেষ, একটা দুইটা পরীক্ষা বাকি আছে, সেগুলো একটা নীতির মধ্যে এনে বিভাগগুলো একটা ব্যবস্থা করতে পারবে কিনা সেটা দেখছি, সম্ভব হলে সেটা নিয়ে নেব।’
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘এগুলোর ফলাফল বের করে দিতে পারলে আমরা একটু হালকা হবো। তারা গ্র্যাজুয়েটও হয়ে যেতে পারবে, বেরিয়েও যেতে পারবে। দু’একটি বিভাগ সেটি যদি নিতে পারে, যেমন ৪০ জন থাকলে চারটি ভাগে ১০ জন করে যদি পরীক্ষা নিয়ে নিতে পারে, তাহলে তারা বেরিয়ে যেতে পারলো। তখন আমাদেরও বোঝা কমবে, ছেলেমেয়েগুলোরও সময়ক্ষেপন কম হলো।’ এটা ইতোমধ্যে কয়েকটা বিভাগ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষা না হলেও শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে পরের সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর পূর্বের সেমিস্টারের ক্লাসও করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে এক সেমিস্টার ক্লাস শেষ হওয়ার পর পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউট প্রধানদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সময় যে অপচয় না হয় সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরোদমে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে নিজেদের মান অক্ষুণ্ণ রাখার কথা বলে অনলাইনে পরীক্ষা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
Discussion about this post