নিউজ ডেস্ক
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ব্রেইল সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (০৭ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের আগে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’-এর ব্রেইল সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ব্রেইল সংস্করণে মোড়ক উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্রেইলে প্রকাশ করা হয়েছে যাতে আমাদের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরাও পড়তে পারে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অনেকে পড়াশোনা করে, তারাও যেন বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারে। তারাও ইতিহাসটা জানার সুযোগ পাবে।
বঙ্গবন্ধুকে আত্মজীবনী লেখায় বঙ্গমাতা সব সময় উদ্বুদ্ধ করতেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার মা সব সময় অনুপ্রেরণা দিতেন তিনি যেন তার জীবনীটা লিখে রাখেন। সেই থেকে তিনি কিন্তু লিখতে শুরু করেন। বাবা যতবার কারাগার থেকে মুক্তি পেতেন আমার মা জেলগেটে আর কিছু না হোক লেখার খাতাগুলো সংগ্রহ করে রাখতেন।
অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পাণ্ডুলিপি উদ্ধারের ইতিহাস তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ১৯৭১ সালে এই খাতাগুলো আমরা প্রায় হারাতে বসেছিলাম। কিন্তু সে সময় আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলাম। যদিও আমাদের ধানমন্ডির বাসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী লুটপাট করে। অনেকগুলো খাতা সেগুলোর ওদের কাছে মূল্য ছিল না। যাই হোক এক সময় সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও ত্যাগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী। ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকাকালে বঙ্গবন্ধু এটি লেখা শুরু করেছিলেন। ২০১২ সালের ১২ জুন বইটি প্রকাশিত হয়।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশের পর থেকেই দেশি-বিদেশি পাঠকদের কাছে জনপ্রিয়তা পায়। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীটি ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, জাপানি, চীনা, আরবি, ফরাসি, তুর্কি, স্প্যানিশসহ ১৪টি ভাষায় অনূদিত হয়।
Discussion about this post