নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে ৫ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। কৃষি বিষয়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা পদোন্নতির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল।এখন সে জটিলতা কেটেছে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নিয়ে কৃষি বিষয়ক শিক্ষকদের দায়ের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল-১। ফলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণের পদোন্নতির পথে আর বাঁধা থাকলো না।
উল্লেখ্য, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণের পদোন্নতি যোগ্য পদ কম থাকায় ৯৭-৯৮% শিক্ষক চাকরি জীবনে কোন পদোন্নতি না পেয়ে অবসরে যান। এই সমস্যা কিছুটা সমাধানের জন্য ২০১৫ সালে সিনিয়র শিক্ষক নামে একটি পদ সৃষ্টি করা হয়। যাতে সহকারী শিক্ষকের মোট পদের ৫০% শিক্ষক চাকরি আট (৮) বছর পূর্তিতে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। বিষয়ে পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করলে কৃষি বিষয়ক শিক্ষকরা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কৃষি বিষয়ক শিক্ষকরা ১৯৯৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৪তম গ্রেডে যোগদান করে।
২২/০৫/২০০৪ সালে তাদের পদটি আপগ্রেড করে অন্যান্য সহকারী শিক্ষকগণের মত ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। কিন্তু তারা ১৯৯৫ সাল থেকে জ্যেষ্ঠতা দাবী করে। ফলে ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০১ ও ২০০২ সালে সহকারী শিক্ষক হিসাবে ১০ম গ্রেডে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকগণের সাথে কৃষি বিষয়ক শিক্ষকগণের জ্যেষ্ঠতা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এই জটলতা নিরসনে জনপ্রাশাসন মন্ত্রণালয়ে মতামত চেয়ে পত্র দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৫/০৫/২০১৯ এই বিষয়ে পিএসসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জনপ্রাশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করে। ০৮/০৯/২০১৯ তারিখে কৃষি বিষয়ক শিক্ষকগণের জ্যেষ্ঠতা ২২/০৫/২০০৪ তারিখ থেকে গণনা করা জন্য মতামত দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পত্র দেন জনপ্রাশাসন মন্ত্রণালয়। এই মতামতকে চ্যালেঞ্জ করে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল -০১ এ মামলা করে কৃষি বিষয়ক শিক্ষকগণ । ১৩অক্টোবর মঙ্গলবার এই মামলার রায়ের দিন নির্ধারিত ছিল। মামলাটি খারিজ করে দেন বিজ্ঞ আদালত। তাই জনপ্রাশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত বহাল থাকে রায়ে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মো. আবদুস সালাম বলেন, এই রায়ে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি বড় জটিলতার অবসান হয়েছে। আশা করি সকল পক্ষ বিজ্ঞ আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান জানাবে। তিনি আরো বলেন যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বহুপদ দীর্ঘ দিন যাবত শুণ্য রয়েছে আশা করি মাঊশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই রায়ের পর আর কোন অজুহাত দেখাবেন না। তিনি পদোন্নতির কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার জন্য মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিকট বিনীত অনুরোধ করেন।
Discussion about this post