নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনায় চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি গুচ্ছ না কেন্দ্রীয় (ক্যাট) পদ্ধতিতে হবে, তা চূড়ান্ত হবে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর)। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ দেড় ঘন্টার মধ্যে এ পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউজিসির সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন হবে। এজন্য প্রস্তুতিও অনেক এগিয়েছে। সশরীরে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন হবে আগামী বছরের শুরুতে।’ অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় তিনি দাবি করেন, আগে বুয়েট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আসতে না চাইলেও এখন তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ১৫ অক্টোবর (আজ) এ সংক্রান্ত সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এসময় এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলেও তিনি জানান।
জানা গেছে, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী অটোপাস পাচ্ছেন। তবে দেশে উচ্চশিক্ষায় সে সংখ্যক আসন নেই। এ জন্য সবার উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা কঠিন হবে বলে মত অনেকের। সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ডেন্টাল, এমআইএসটি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ লাখের মতো আসন রয়েছে। ফলে দুই লাখ শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করলেও এবার শতভাগ পাস হওয়ায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
অবশ্য উচ্চ শিক্ষায় অতিরিক্ত আসন রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত আসন রয়েছে। সব শিক্ষার্থী ভর্তির পরও কিছু আসন শূন্য থাকবে, কেউ বাদ যাবে না। আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাব।’
জানা গেছে, শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাট পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে। আর ইউজিসি গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে চায়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আজ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসছে ইউজিসি। বিকেল ৩টার দিকে অনুষ্ঠেয় সভায় এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী জানুয়ারি মাসে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে। তবে শীতে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হলে পরীক্ষা পেছাবে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি বা মার্চে এ পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। আর যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অপেক্ষা করতে না চায় তাহলে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত করে পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।
Discussion about this post