নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষায় মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ পড়া প্রার্থীরা এক সপ্তাহ ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কার্যালয়ের সামনে কাফনের কাপড় পরে প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এখন তারা নতুনভাবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা বাড়ি ফিরে যাবেন না, প্রয়োজনে রাস্তায় মরে থাকবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
প্যানেল তৈরির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি ফের নাকচ করে দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন। তিনি বলেছেন, সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগের যে প্রক্রিয়া সেই অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি মালার বাইরে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় নিয়োগের সুযোগ নেই।
প্রার্থীদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি অযৌক্তিক। এভাবে প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই সরকারের।
আকরাম আল হোসেন আরো বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করতে আমরা ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। সেখানে এ সংক্রান্ত সব কিছু পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষা থেকে বাদ পড়া প্রার্থীদের একটি গ্রুপ টাকা তুলে আন্দোলন শুরু করেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেতে হলে সব পরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমাণ করে নিয়োগ পেতে হবে, প্যানেলে নিয়োগ দেয়া হবে না।
জানা গেছে, মামলা জটিলতায় আটকে থাকার দীর্ঘ চার বছর পর ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন উত্তীর্ণ হন। আর ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে প্রায় ৩৭ হাজার ১৪৮ জন নিয়োগ বঞ্চিত হন।
প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির নেতারা বলছেন, শিগগির প্যানেল তৈরির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা না দেয়া হলে তারা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবেন।
Discussion about this post