বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে নেয়া হবে সেটি আগামী সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে। আগামী রোববার (১৮ অক্টোবর) ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করতে ডিনস কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের পর থেকেই আলোচনায় আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়টি। আর দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে সব সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ কাজ করে। আমরা সেটিকে মাথায় রেখেই কাজ করছি। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি কাজ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার একটি নিজস্ব পদ্ধতি আছে। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
তিনি আরও বলেন, আগামী রোববার আমাদের ডিনস কমিটির সভায় আছে। সেখানে পরীক্ষা কীভাবে নেয়া যায়, এইচএসসির রেজাল্ট রাখা না রাখাসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আশা করছি সেই মিটিংয়ের পর ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে বসে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সেখানে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা প্রস্তাব দেন তারা।
অনলাইন এই বৈঠকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তাব দেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার রাতে অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হচ্ছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করাটা কঠিন হয়েছে দাঁড়িয়েছে, তাই দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছি আমি।
বৈঠকে উপস্থিত গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, সভায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আগামী শনিবার এই বিষয়ে আলোচনা করতে উপাচার্যদের নিয়ে আবারও বৈঠক হবে। সেখানে হয়তো কোনা সিদ্ধান্ত আসলেও আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শনিবারের বৈঠকে ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসির গ্রেড পয়েন্ট রাখা না রাখার বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে। কেননা করোনা সংক্রমণের কারণেই এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সেখানে ভর্তি পরীক্ষার মতো বিশাল একটি কর্মযজ্ঞ আয়োজন করতে গেলে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সব বিষয় বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Discussion about this post