বিশেষ প্রতিবেদক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত তিনটি ভ্যাকিসনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ অব কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ ও গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ড. কাকন নাগ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, গত ১৫ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কার করা তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। গ্লোবের ভ্যাকসিনের নাম ব্যানকোভিড। ভ্যাকসিন তিনটি হলো, D614G Variant mRNA vaccine, DNA plasmid vaccine এবং Adenovirus Type-5 Vector Vaccine।
গত ১৫ অক্টোবর গ্লোবের তিনটি ভ্যাকসিনকে বিশ্বজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে চলমান গবেষণাগুলোর তালিকায় অন্তুর্ভুক্ত করে বলে নিশ্চিত করেছে গ্লোব বায়োটেক। এরই মধ্যে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘ব্যানকোভিড’মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআরবি’র সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করেছে গ্লোববায়োটেক।
সরকারের ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন পাওয়ার পর শুরু হবে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
করোনার ভ্যাকসিন সম্পর্কে গ্লোব বায়োটেক এর সিইও ড. কাকন নাগ সম্প্রতি জানান, বর্তমানে সারাবিশ্বে করোনা আক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই সংক্রমণে ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টটি শতভাগ দায়ী বলে সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদও (বিসিএসআইআর) বাংলাদেশে সংক্রমণের জন্য ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী বলে নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক-ই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের সর্বোচ্চ তিনটি ভ্যাকসিনের নাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের তালিকাতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ‘ব্যানকোভিড’ টিকাটি ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রথম ও একমাত্র আবিষ্কৃত টিকা।’’
প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড দেশে প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। সেদিন তারা জানায়, গত ৮ মার্চ তারা এই টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করে এবং সব পর্যায়ের কাজ শেষ করতে পারলে আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে এই টিকা বাজারজাত করা যাবে।
Discussion about this post