ক্রীড়া ডেস্ক
শিখর ধাওয়ানের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরির সঙ্গে অক্ষর প্যাটেলের পাঁচ বলে ২১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে।
শারজায় শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের জয়ে দিল্লি আবার শীর্ষে। সমান ১২ পয়েন্ট থাকলেও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আগেরদিন নেট রান রেটের কল্যাণে ওপরে উঠে গিয়েছিল, তাদের সরিয়ে এক নম্বর জায়গাটা আবার দখলে নিলো দিল্লি।বিরাট কোহলি দু’বার ক্যাচ ফেলে কেএল রাহুলকে সেঞ্চুরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ম্যাচটিও জিতেছিল পাঞ্জাব। এদিন শিখর ধাওয়ানের ক্যাচ অন্তত তিনবার ফেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের ফিল্ডাররা। সেঞ্চুরি করেছেন ধাওয়ান, এই আইপিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি তার আইপিএল ক্যারিয়ারে প্রথম।
টসজয়ী চেন্নাই প্রথমে ব্যাটিংয়ে গিয়ে শূন্য রানে হারায় প্রথম উইকেট (স্যাম কারেন)। কিন্তু তারপর পা ফেলেছে ঠিকঠাক। কয়েকটি ম্যাচ পর ধোনির দলের ব্যাটিংটা হয়েছে প্রত্যাশামতো। ওপেনার ফ্যাফ ডু প্লেসি ও শেন ওয়াটসন দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেছিলেন ৮৭ রান। যাতে ওয়াটসনের অবদান ২৮ বলে ৩৬। ডু প্লেসি ৪৭ বলে ৫৮ করে কাগিসো রাবাদার শিকার হওয়ার পর চেন্নাইকে ১৭৯ রানের চূড়ায় তুলে দেয় আসলে রায়ডু ও জাদেজার অবিচ্ছিন্ন ৫০ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। ২১ বলে এই জুটি গড়েন তারা। অম্বাতি রায়ডু ২৫ বলে ৪৫ করে অপরাজিত থাকেন, রবীন্দ্র জাদেজা ১৩ বলে ৩৩ করে।
অনেক বড় স্কোর। তারওপর শূন্য রানে প্রথম উইকেট (পৃথ্বী শ) খোয়ানো দিল্লি দ্বিতীয় উইকেট হারায় ২৬ রানে। রান তাড়ার শুরুটা ছিল বাজে। সেই তারাই ১৭৯ রান টপকে অসাধারণ এক জয় তুলে নিলো ধাওয়ানের সৌজন্যে।
প্রথমবার ২৫ রানে দীপক চাহার ধাওয়ানের ক্যাচ ফেলেছেন জাদেজোর বলে, দ্বিতীয়বার অধিনায়ক ধোনি নিজেই ফেলেছেন ডোয়াইন ব্রাভোর বলে ৫০ রানে। তৃতীয়বার রায়ডু ফেলেছেন শার্দূল ঠাকুরের বলে ৮০ রানে। বিস্ফোরক ও অভিজ্ঞ এক ব্যাটসম্যান এটির সুযোগ নিয়ে আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন। ম্যাচ জিতিয়ে তিনিই ম্যান অব দ্য ম্যাচ। তবে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭ রান তোলায় তার অবদান সামান্য। তিন ছক্কা ও একটি ডাবলসে পাঁচ বল খেলেই কাজ সেরেছেন সঙ্গী অক্ষর প্যাটেল। অপরাজিত ধাওয়ান ৫৮ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ১৪টি চারের সঙ্গে মেরেছেন একটি ছক্কা।
সামনে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, ধোনি কেন বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজাকে বল দিলেন, সেই প্রশ্নটা উঠেছে। পুরস্কার বিতরণীতে এসে চেন্নাই অধিনায়ক বলেন, তিন ওভারে ২৩ রান দেওয়া ব্রাভো আনফিট হয়ে পড়ায় জাদেজাই ছিলেন তার ভরসা । ফিরতি পর্বে এখনও পাঁচটি ম্যাচ বাকি, অনেক কিছুই ঘটতে পারে। তবে নবম ম্যাচে ষষ্ঠ পরাজয় প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তাটা অনেক কঠিন হয়ে পড়লো আগে কখনও প্লে-অফ মিস না করা চেন্নাইয়ের। নবম ম্যাচে সপ্তম জয়ে শীর্ষে ওঠা দিল্লির প্লে-অফে না যাওয়ার কোনও কারণই নেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চেন্নাই: ২০ ওভারে ১৭৯/৪ (ডু প্লেসি ৫৮, রায়ডু ৪৫*, ওয়াটসন ৩৬, জাদেজা ৩৩*, নর্কিয়া ২/৪৪, রাবাদা ১/৩৩) ও দিল্লি: ১৯.৫ ওভারে ১৮৫/৫(ধাওয়ান ১০১*, স্টয়নিস ২৪, আইয়ার ২৩, প্যাটেল ২১*, চাহার ২/১৮, ব্রাভো ১/২৩)।
Discussion about this post