নিউজ ডেস্ক
এসএমই খাতের সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স ভিত্তিক এসএমই হাব তৈরির মাধ্যমে সমৃদ্ধ হতে পারে দেশের অর্থনীতি। দেশের প্রযুক্তিবিদ, নীতি-নির্ধারক মহল, উন্নয়নকর্মী এবং দেশের সেরা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশের এসএমই খাতে ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরাণ্বিতকরণ’ শীর্ষক অনলাইনে আয়োজিত এক ব্রেইনস্টর্মিং অধিবেশনে বক্তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে এমন মন্তব্য।
করোনা মহামারির কারণে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহার এবং ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এটুআই এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এর যৌথ উদ্যোগে শনিবার এই অনলাইন ব্রেইনস্টর্মিং অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরীর সঞ্চালনায় অধিবেশনের প্যানেল ডিসকাশন পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম-এর প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স (সেন্টার ফর দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন) শেখ তানজিব ইসলাম এবং প্রতিষ্ঠানটির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার কমিউনিটি স্পেশালিস্ট সুচি কেদিয়া।
অধিবেশনের প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম-এর হেড অব গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স শেখ তানজিব ইসলাম বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ডিজিটাল প্রযুক্তির রুপান্তরের প্রভাব সম্পর্ক বলতে গিয়ে জার্মানের উদাহরণ তুলে ধরেন। তার মতে, মূল অর্থনৈতিক খাতের সাথে ডিজিটালাইজেশন-এর সমন্বয় ঘটলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সম্ভব। এ সময় তিনি ১৩ টি দেশের মূল অর্থনৈতিক কাঠামো এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয় এবং ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম-এর ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম-এর দক্ষিণ এশিয়ার কমিউনিটি স্পেশালিস্ট সুচি কেদিয়া বলেন, এসএমই খাত-কে সমৃদ্ধ করতে হলে আঞ্চলিকভাবে সমন্বয় করতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় সাধন করা গেলে স্থানীয় পরিসর থেকে জাতীয় পরিসরে পরিবর্তন করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম কাজ করছে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের কথাও তিনি তুলে ধরেন।
সেশনে অংশগ্রহণকারী আলোচকবৃন্দ দেশের এসএমই খাতের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডিজিটাল সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, ই-কমার্স খাতের সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয় এবং ডিজিটাল এসএমই হাব তৈরির ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও বক্তারা এ সময় উদ্যোক্তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, তাদের মাঝে নেটওয়ার্কিং তৈরি এবং পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে পৃষ্ঠপোষকতার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এটুআই-এর পলিসি স্পেশালিস্ট (স্কিলস ফর এমপ্লয়িমেন্ট) আসাদ-উজ-জামান-এর স্বাগত বক্তব্যের পরে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবস্থান তুলে ধরেন এটুআই-এর রুরাল-ই-কমার্স -এর টিম লিডার রেজওয়ানুল হক জামি।
অধিবেশনের প্যানেল ডিসকাশন পর্বে অংশগ্রহণ করেন বিডিজবস ডট কম ও আজকের ডিল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-এর এডুকেশন স্পেশালিষ্ট টিএম আসাদুজ্জামান, ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার (জেনারেশন আনলিমিটেড বাংলাদেশ) ম্যারিনি অহলার্স, সমাজসেবা অধিদফতর-এর অতিরিক্ত পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোঃ কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংক-এর মহাব্যবস্থাপক (স্পেশাল প্রোগ্রাম) হুসনে আরা শিখা, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন-এর পরিচালক (দক্ষতা ও প্রযুক্তি) মোহাঃ আব্দুস ছালাম এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম।
Discussion about this post