নিজস্ব প্রতিবেদক
শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ রাসেলের ম্যুরাল উন্মোচন এবং শহীদ শেখ রাসেল ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (১৮ অক্টোবর) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে এই ম্যুরাল উন্মোচন ও ভবন উদ্বোধন করেন। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহ, সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী এবং ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা বানু বক্তব্য রাখেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। দিনটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের ছিল। রাসেল ছিল আমাদের চোখের মনি। কিন্তু এই ফুল আর প্রস্ফুটিত হতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ১০ বছরের এই শিশুকেও ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে।
শিশুকালেই শেখ রাসেলের মধ্যে উদারতা, মানবিকতা, দেশপ্রেম, সহপাঠী ও বন্ধুদের সাহায্যে এগিয়ে আসাসহ বিভিন্ন গুণাবলীর বহি:প্রকাশ ঘটেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে শেখ রাসেল সম্পর্কে জানতে হবে এবং দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তিনি পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তাদের কাজ করতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শহীদ শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, নিরহংকারী ও শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি সহপাঠী ও বন্ধুদের সাথে টিফিন ভাগাভাগি করে খেতেন। তার এসব মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে শেখ রাসেলের এই ম্যুরাল স্থাপন ও তার নামে একাডেমিক ভবন নির্মাণের মাধ্যমে তার স্মৃতি আগামী প্রজন্মের কাছে অমর হয়ে থাকবে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ শেখ রাসেলের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
Discussion about this post