বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম। গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে উপাচার্য বলেন, নানা জটিলতা থাকায় গত বছর সম্মিলিত ভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে হাবিপ্রবি এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় অংশ নেবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু কৃষি, ডিভিএম, মাৎস্যবিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিএসই, বিজনেস স্টাডিজ, বিজ্ঞান, ও সোসাল সাইন্স অনুষদ আছে- তাই ভর্তি পরীক্ষাটি একটু জটিল হয়ে যায়। তবে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কৃষি, ডিভিএম, মাৎস্যবিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান ও সিএসই অনুষদে ভর্তির জন্য ‘বিজ্ঞান’ ক্যাটাগরির আওতায় একটি ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ ও সোসাল সাইন্সে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাও একই পদ্ধতিতে হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
চলতি বছর তিন ক্যাটাগরিতে মেধা যাচাই পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে অভিন্ন প্রশ্নে ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া বলে জানা গেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলো আগের নিয়মেই শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসির প্রাপ্ত জিপিএর ভিত্তিতেই ভর্তি করা হবে।
তবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং পরিচালনায় স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পরীক্ষা নেয়া হবে অনলাইনে। একটি অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে বা অফলাইনে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এজন্য একটি সফটওয়্যারও তৈরি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সমন্বিত পদ্ধতিতে কৃষি, প্রকৌশলী এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভাবে পাঁচটি ধাপে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। এরমধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং মানবিক বিভাগের জন্য তিনটি পরীক্ষা আয়োজন করার কথা রয়েছে।
এদিকে গত শনিবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা অংশ নেন। সভায় করোনা মহামারির কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে অনার্স পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একটি ন্যূনতম মেধা বা যোগ্যতা যাচাই করার ব্যবস্থা থাকা দরকার। তাই করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয় ।
Discussion about this post