নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা মহামারিতে আবারও নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রণোদনা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। যত দ্রুত দেওয়া সম্ভব এ নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, ‘করোনা মহামারিতে নন-এমপিও শিক্ষকদের আবারও অর্থ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও না কোনওভাবে তো সহায়তা করা প্রয়োজন।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৬৪ জেলার ৮ হাজার ৪৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) নন-এমপিও ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষকের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা হারে এবং ২৫ হাজার ৩৮ জন নন-এমপিও কর্মচারীর প্রত্যেককে ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৭৮৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে অনুদান দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) নতুন করে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে নতুন করে তথ্য নেওয়া শুরু করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া নতুন চিঠিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের যাবতীয় তথ্যের সঙ্গে বিকাশ নম্বর চাওয়া হয়েছে বলে জানায় রাজধানীর মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ।
নন-এমপিও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, অনেক শিক্ষক সরকারের আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভুল অথবা অবহেলার কারণে সঠিকভাবে মন্ত্রণালয়ে তথ্য না পাঠানোর কারণে এমনটি হয়েছে। এছাড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও শিক্ষকরা করোনাকালীন আর্থিক সহায়তা পাননি।
জানা গেছে, রাজধানীর এমপিওভুক্ত মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুলের নন-এমপিও ২০ জন শিক্ষক করোনাকালীন অর্থ সহায়তা পাননি ব্যানবেইসের কাছে সঠিক তথ্য আপডেট না থাকায়। এমন উদাহরণ রয়েছে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘ব্যানবেইস এর কাছে সঠিক তথ্য না থাকায় অনেক নন-এমপিও শিক্ষক করোনাকালীন সহায়তা পাননি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও ভুল রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যানবেইসে সঠিকভাবে তথ্য আপডেট না থাকায় এমন ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে ভুল না হয় সে জন্য ব্যানবেইস তথ্য আপডেট করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে দেশে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে রয়েছে ৫ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে নতুন করে এমপিও পেয়েছে ২ হাজার ৭৩৭টি। এছাড়া অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বাইরে রয়েছে আর ২ হাজারেরও বেশি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেসরকারি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন এক লাখের মতো।
Discussion about this post