নিউজ ডেস্ক
অভিভাবকহীন ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের প্রযুক্তি জ্ঞান আহরণে ‘ইয়ুথক্যান’ এর উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এর মাধ্যমে সাত হাজারের অধিক শিশু-কিশোর আইসিটি শিক্ষা নিতে পারবে।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে তারাই ভবিষ্যত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শক্তিশালী হাতিয়ার। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তরুণদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টি ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে পলক বলেন, শিশু, কিশোর ও তরুণরা যেন প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যৎ বিশ্বের জন্য তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের পরিকল্পনায় আইসিটি বিভাগ সারাদেশে স্কুল পর্যায়ে আট হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে আরও পাঁচ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে ৩০০টি স্কুলে ‘স্কুল অব ফিউচার’ স্থাপন এবং সারাদেশের ৬৪টি জেলায় ২০২৫ সালের মধ্যে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।
এসওএস ভিলেজের সদস্যদের প্রযুক্তি জ্ঞান আহরণের লক্ষ্যে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ‘স্কুল অব ফিউচার’ ও ইনকিউবেশন সেন্টারের কাছাকাছি সাতটি এসওএস ভিলেজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দেওয়া হবে।
এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে এরই মধ্যে এ সেক্টরে গত ১১ বছরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখসহ মোট ২০ লাখ কর্মসংস্থান আইটি সেক্টরে নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া সাড়ে ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে। আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে এসওএস ভিলেজের সদস্যদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন-এসওএস এর ন্যাশনাল ডাইরেক্টর ড. মোহাম্মদ এনামুল হক, এসওএস গ্লোবাল প্রাইভেট ম্যানেজার ইউ এগার, এসওএস এর ইন্টারন্যাশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ রাজনিস জেন, এইচএসবি বাংলাদেশের সিইও মাহুবুব রহমান, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান। পরে প্রতিমন্ত্রী ‘ইয়ুথক্যান’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আইসিটি বিভাগ জানায়, এসওএসের মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় সাত হাজার শিশু-কিশোর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি জ্ঞান আহরণ করতে পারবে। এতে অভিভাবকহীন শিশু-কিশোরদের প্রযুক্তি শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হলো।
Discussion about this post