নিজস্ব প্রতিবেদক
তরুণ প্রজন্মকে জীবনভিত্তিক শিক্ষা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, উচ্চশিক্ষা অর্জন করে শুধু চেয়ার-টেবিলে বসে ফাইল সই করার মানসিকতা পরিহার করে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতাভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষাকে যুগোপযোগীভাবে এগিয়ে নিতে নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। যুগোপযোগীভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
নওফেল বলেন, ভালো মানুষ হওয়ার জন্য ভালো মেধাই যথেষ্ঠ নয়। ভালো মানুষ হওয়ার জন্য নীতি নৈতিকতার বিকাশ ঘটাতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নীতি নৈতিকতাহীন শিক্ষা দেশ ও সমাজের উপকারে আসে না।
তিনি বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের মূল্যবোধকে জাগ্রত করা। নৈতিক চরিত্রকে বিকশিত করা। ভালো ছাত্র হিসেবে পুরস্কার পাওয়া বড় কিছু নয়। ভালো পড়ালেখা করে দেশে ও সমাজের জন্য কিছু করতে পারাই বড় কথা। ছাত্রজীবনে দেশপ্রেম ও পরোপকারী হতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখতে হবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্ত্তী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে তোমরা দেশের কাছে ঋণী হয়ে গেলে। এখন তোমাদের সুশিক্ষিত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, শিক্ষা একান্ত নিজস্ব। অন্য জিনিসের বিকল্প আছে, কিন্তু শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার অংশীদার নাই, উত্তরাধিকার নেই। শিক্ষা চুরি হয় না, ছিনতাই হয় না, ডাকাতি হয় না। পৃথিবীতে শিক্ষা একান্তভাবেই নিজস্ব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষায় উৎসাহী করতে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের বই তুলে দিচ্ছেন। পাশাপাশি মেধাবী গরীব, অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে জেলা পরিষদের এই শিক্ষাবৃত্তি।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পর্যায়ে চট্টগ্রামের ৩২৪ জন শিক্ষার্থীকে প্রায় ২৮ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
Discussion about this post