মোস্তাফা জব্বার , তথ্যপ্রযুক্তিবিদ
মন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ।
তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের ছোট একজন কর্মী। বঙ্গবন্ধুকে সামনাসামনি দেখার সুযোগ হয়নি। তখনই সুযোগটা এলো। আমরা ছাত্ররা তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করার উদ্যোগ নিই।
অনেকেরই জানা নেই যে, শেখ মুজিব কেমন করে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন। সম্প্রতি রেজাউল হক মুশতাক ইন্টারনেটে এই বিষয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সেখানে এই উপাধি দেবার বিষয়ে তিনি তার নিজের কথা উল্লেখ করেছেন। আমিও সেই ঘটনাটির কথা স্মরণ করতে পারি। তবে লিখিত বক্তব্য হিসেবে আমি মহিউদ্দিন আহমদ-এর রচনা থেকে তুলে ধরছি।
‘আমরা যারা তখন ছাত্রলীগের শ্লোগান দেয়া আর পোস্টার লেখার কর্মী ছিলাম তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু উপাধিটি ছিলো এক অসাধারণ পাওনা।’
“১৯৬৮ সালের কথা। ছাত্রসংসদের নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নভেম্বর মাসে চার পাতার একটা প্রচারপত্র প্রকাশ করে। এর নাম ছিল ‘প্রতিধ্বনি’, সম্পাদক আমিনুর রহমান। শেষের পাতায় দুটো লেখা ছিল, দুই কলামে। প্রথম কলামে ছিল ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে একটা বিবৃতি। শিরোনাম ছিল ‘কর্মমুখর অতীতের স্বাক্ষর’। এতে বিগত ছাত্রসংসদের কর্মকাণ্ডের একটা ফিরিস্তি ছিল। দ্বিতীয় কলামে ছিল ছয় দফা কর্মসূচির বর্ণনা।
ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ প্রকাশিত বুলেটিন ‘প্রতিধ্বনি’র শেষ পৃষ্ঠায় ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দের প্রথম ব্যবহার হয়। এর শিরোনাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রস্তাবিত পূর্ব বাংলার ‘মুক্তি সনদ’ ছয় দফা। ‘বঙ্গবন্ধু’ দুই শব্দের আলাদা করে ছাপা হয়েছিল। শেখ মুজিবের জন্য এই উপাধির আবিষ্কর্তা ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এবং ওই সময়ে ঢাকা নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক মুশতাক। তাঁর চিন্তা ছিল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মতো একটা জুতসই কিছু শেখ মুজিবের জন্য খুঁজে বের করা। এই ভাবনা থেকেই বঙ্গবন্ধু শব্দের উৎপত্তি। বিষয়টি একসময় সিরাজুল আলম খানের কানে যায়। তিনি এটা ‘অনুমোদন’ করেন।
১৯৬৯ সারের ২৩ ফেব্রুয়ারি সদ্য কারামুক্ত শেখ মুজিবকে রেসকোর্স ময়দানে (পরবর্তী সময়ে যার নাম হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে যে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল, সেই সভায় তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে ‘ বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে ঘোষণা দেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়নের উভয় গ্রুপেরই আপত্তি ছিল। সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা এবং ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়া গ্রুপ) সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দোহা এ নিয়ে এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে, তিনি ওই সভায় মঞ্চের ওপর বসেননি। মঞ্চে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে সিরাজুল আলম খানও উপস্থিত ছিলেন। রাজনীতিতে শেখ মুজিবের একচেটিয়া ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার পথে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। এটা পরবর্তী সময়ে তাঁর নামের অপরিহার্য অংশ হয়ে যায়। শেখ মুজিবের নামের আগে বঙ্গবন্ধু না বললে কেউ কেউ প্রচণ্ড রকম ক্ষুব্ধ হতেন। এখনো হন।
রেজাউল হক মুশতাক এখনও তার সেই স্মরণিকা প্রকাশের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি লিখেছেন: “(১৯৬৫ সালে) আমি তখন চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তারুণ্যের সমগ্র উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে চলমান ঘটনাকে অবলোকন করতাম চরম বিস্ময়ের সাথে। এই বোধ থেকেই জড়িত হয়ে পড়ি তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের মূলস্রোতধারা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের সাথে। পড়াশুনার পাশাপাশি স্কুল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন এবং একই সাথে ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে আমি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সামগ্রিক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়ি।
১৯৬৭ সালে এস এস সি পাশ করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা কলেজে ভর্তি হই। এখানেও রীতিমত লেখাপড়ার পাশাপাশি উত্তপ্ত ছাত্র আন্দোলনের ছোঁয়া আমাকে আরও উজ্জীবিত করে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার ঘটনাবলী প্রত্যক্ষভাবে কাছ থেকে দেখার সুযোগ ঘটে। এই সময় তৎকালীন রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যমণি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম পুত্র শেখ কামালের সাথে সহপাঠী হিসেবে আমার পরিচয় ঘটে এই ঢাকা কলেজেই। ১৯৬৭ সালেই আমি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে এবং একই সাথে লেখাপড়ায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঐ সময় ঢাকা কলেজের ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্ব ছিল বহুমাত্রিক। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎকালীন ছাত্র আন্দোলনের খবর প্রকাশ, বিকাশমান বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আমি ও শেখ কামাল একটি বুলেটিন প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। বুলেটিনের নামকরণ করা হয় ‘প্রতিধ্বনি’।
তখনও শেখ মুজিবের নামের সাথে সুনির্দিষ্ট কোন বিশেষণ যুক্ত হয়ে ওঠেনি। বিভিন্ন জন বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন নামকরণ করলেও কোনটি তেমন স্বীকৃতি লাভ করেনি। শেখ মুজিবুর রহমান তখনও ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে পরিচিত নন। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের কাছে তিনি মুজিব ভাই সম্বোধনে পরিচিত। ১৯৬৬ সাল থেকে তাঁর নামের আগে তরুণ সমাজ ‘সিংহশান্দুল’, ‘বঙ্গশান্দুল’ ইত্যাদি খেতাব জুড়ে দিত। এই প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিবের নামের সাথে একটি যথাযথ বিশেষণ যুক্ত করার চিন্তা আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা উল্লেখ করে সে সময় আমি একটি নিবন্ধ রচনা করি। চার পৃষ্ঠাব্যাপী এই নিবন্ধে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নৃ-তাত্ত্বিকভাবে দুটো পৃথক অঞ্চল হিসেবে পাকিস্তানের দুই অংশের সম্পূর্ণ বিপরীত বৈশিষ্ট্যকে জোরালোভাবে তুলে ধরার প্রয়াস পাই। এই নিবন্ধে গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের নামের সাথে প্রচলিত বিভিন্ন বিশেষণের পাশাপাশি সর্বপ্রথম লিখিত আকারে আমি ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশেষণটি ব্যবহার করি।
প্রসঙ্গক্রমে নিবন্ধের উপসংহার অংশটুকু নিম্নে উদ্বৃত্ত করা হল :“পরিশেষে একটি কথা বলা যায় দুই অংশের পার্থক্য ও অমিলকে স্বীকার করে দুই অংশের পৃথক ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে পাশাপাশি স্থান দিয়ে ও সর্বোপরি পূর্ব বাংলার নয়নমনি-মুক্তিদিশারী, “বঙ্গবন্ধু”, সিংহশর্দুল শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রস্তাবিত ৬ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজব ও অভিনব পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি টিকে থাকতে পারে নতুবা নয়।” বলাবাহুল্য, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, ঢাকা কলেজ শাখার প্যাডে ৩ নভেম্বর, ১৯৬৮ সালে আমার স্বহস্তে লেখা এই নিবন্ধটি আমি ছদ্মনামেই প্রকাশ করি। নিবন্ধের নাম ‘আজবদেশ’, আমার ছদ্মনাম ছিল ‘সারথী’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই নিবন্ধটি হুবহু কোথাও প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ ঘটেনি। এর পেছনেও রয়েছে একটি ছোট্ট ইতিহাস। শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্থাপিত ঐতিহাসিক ৬ দফার আলোকে লিখিত এই নিবন্ধে মূলত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসাড়তাই ফুটে উঠেছিল। সে সময়ের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর দৃষ্টিতে এ ধরনের নিবন্ধ ছিল রীতিমত রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ। ‘প্রতিধ্বনি’তে এই নিবন্ধটি প্রকাশের উদ্যোগ নিলে শেখ ফজলুল হক মনি ও সিরাজুল আলম খানসহ ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে ওই মুহূর্তে নিবন্ধটি না ছাপানোর পরামর্শ দেন। উনাদের যুক্তি ছিল, এই নিবন্ধ প্রকাশিত হলে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের ধারাবাহিক কার্যক্রম পুলিশী রোষানলে পড়বে এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হবে।
‘আজবদেশ’ নামে এই লেখায় ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশেষণটি আমার কাছে খুব যুৎসই ও যথার্থ বলে অনুমিত হওয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি কোথাও ছাপিয়ে ব্যবহারের চিন্তায় ছিলাম। ১৯৬৮ নভেম্বরে প্রতিধ্বনি বুলেটিনে ঐতিহাসিক ৬ দফা পুনর্মুদ্রণের সময় সর্বপ্রথম ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি আনুষ্ঠানিকভাবে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়। ‘৬৯ এর গণআন্দোলনের প্রাক্কালে ঝিমিয়ে পড়া ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা শহরে ছাত্রলীগের আমরা ৩০/৪০ জন সার্বক্ষণিক কর্মী ছিলাম। প্রতিধ্বনির লেখা তৈরি করে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের নেতা একরামুল হকের পুরানা মোগলটুলি হোস্টেলে প্রেসের সন্ধানে গিয়ে লেখাটা পড়ে শুনালাম। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও বর্তমানে সাংবাদিক বদিউল আলম।
‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধাটি উপাধি হিসেবে ব্যবহার করায় আমার এ দু’জন বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মী আমাকে সমর্থন করলেন অকুণ্ঠ চিত্তে। আমরা প্রতিধ্বনি ছাপানোর জন্য পুরানা ঢাকার কোর্ট হাউজ স্ট্রিটস্থ কায়দে আযম কলেজ (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী কলেজ) ছাত্র সংসদের তৎকালীণ সাধারণ সম্পাদক মো ইব্রাহিমের বড় ভাইয়ের মোহাম্মদী প্রেসে গিয়ে ছাপানোর ব্যবস্থা করলাম। প্রসঙ্গত, এই প্রেস থেকে আগরতলা মামলা চলাকালীন সময় বিশেষ সামরিক আদালতে প্রদত্ত শেখ মুজিবের জবানবন্দিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত দফতর সম্পাদক মরহুম সৈয়দ ফজলুল হক বিএসসি’র অর্থানুকূল্যে সর্বপ্রথম ছাপিয়ে সাধারণ জনগণের কাছে বিলি করেছিলাম।
‘প্রতিধ্বনি’তে ৬ দফার শিরোনামে ’বঙ্গবন্ধু’ অভিধাটি যুক্ত করা হয়েছিল এইভাবে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রস্তাবিত পূর্ব বাংলার মুক্তিসনদ ৬ দফা”। অজানা ও অনালোচিত এই ঐতিহাসিক তথ্যের প্রাসঙ্গিকপূর্ণ বর্ণনা পাওয়া যায় ১৯৮৭ সালের ৩১ জুলাই ’বাংলার বাণী’ পত্রিকায় কলামিস্ট ওবায়দুল কাদের’র (বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী) বর্ণনায় “মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত হন লক্ষ লক্ষ জনতার সমাবেশে, ১৯৬৯ সালে। অবিস্মরণীয় গণবিস্ফোরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে সে আন্দোলনের অগ্রণী বাহিনী ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে সদ্য কারামুক্ত শেখ মুজিবকে রেসকোর্সের স্বতঃস্ফূর্ত বিশাল জনসমুদ্রে ডাকসুর সহ-সভাপতি ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা তোফায়েল আহমদ ‘বঙ্গবন্ধু’ খেতাবে ভূষিত করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সমাজতন্ত্র নামক বইতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম (মার্শাল মনি) ২৩শে ফেব্রুয়ারি ৬৯ শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। আমরা যারা তখন ছাত্রলীগের শ্লোগান দেয়া আর পোস্টার লেখার কর্মী ছিলাম তাদের কাছে বঙ্গবন্ধু উপাধিটি ছিলো এক অসাধারণ পাওনা।
লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস–এর চেয়ারম্যান– সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার–এর জনক। mustafajabbar@gmail.com, www.bijoyekushe.net,
Discussion about this post