নিজস্ব প্রতিবেদক
ছয় শিক্ষার্থী টানা দ্বিতীয় দিনের মত ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রাংগনে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিপরীক্ষায় অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা এই শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব তাদেরকে মুঠোফোনে অনশন বন্ধ করে রবিবার দেখা করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারা ভর্তির নিশ্চয়তা না পাওয়ায় উপাচার্যের প্রস্তাবে সম্মত হন নি এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে ‘ই’ ইউনিটের অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থী মো: মিলন আলী বলেন, ‘আমরা ইতোপূর্বে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি৷ তারা বলেছিলেন পরবর্তীতে ভর্তি নেয়া হবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেটা হয় নি। পরবর্তীতে আমরা নতুন উপাচার্য যোগদানের পর তাকে চিঠি দেই, কিন্তু তিনিও কোনে পদক্ষেপ নেননি। একারণে আমরা ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন করছি।’
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. এম.এ.সাত্তার এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়ার পরেও তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকেছি। এমনকি তৃতীয়বারে শিক্ষার্থীদের বাড়িতেও ফোন দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আসন ফাঁকা ছিলো। যেহেতু তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডাকার পরেও সিট ফাঁকা ছিলো এবং আমাদের শিক্ষক সংকট, রুম সংকটসহ বিভিন্ন সংকট ছিলো তাই ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেই আর কোনো শিক্ষার্থী ডাকা হবে না।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু কাউকে ডাকিনি তার অর্থ আমরা আর কাউকে ভর্তি নিবো না, এক্ষেত্রে পৃথকভাবে ভর্তি বন্ধের নোটিশ দেয়ার কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। আর বিষয়টি নিয়ে আমাদের যারা কল দিয়েছিলো তাদেরকেও জানিয়ে দিয়েছি আর কাউকে ভর্তি নেয়া হবে না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, তাদের দাবি যদি যৌক্তিক হয় এবং রিজেন্ট বোর্ডে যদি অনুমতি দেয় তাহলে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে ভর্তি না নেয়ার কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফাঁকা আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির দাবিতে ২৭ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন এ, বি, ই, এফ এবং এইচ ইউনিটের আট শিক্ষার্থী।
Discussion about this post