বিশেষ প্রতিবেদক
আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন এই মহামানব। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির ললিত বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তের সিলসিলায় শেষ নবী। তাঁর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল মুসলমানদের কাছে এক পবিত্র দিন। মুসলমান সম্প্রদায় দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। বছর ঘুরে এল আবার সেই দিন।
সারা আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন মহান আল্লাহ পাক তাঁর পেয়ারা হাবিব বিশ্বনবী (সা.)-কে বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। এরপর বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। এরপর মহানবী (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এ বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন।
রাসুলের (সা.) জন্ম ও মৃত্যুদিনকে ঈদে মিলাদুন্নবী নামে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে পালন করেন। সিরাতুন্নবী (সা.) নামেও দিনটি পালিত হয়। বিভিন্ন সংগঠন জশনে জুলুসের শোভাযাত্রার আয়োজন করে। কিন্তু করোনার কারণে এবার শোভাযাত্রা হবে না।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন। মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। বন্ধ থাকবে সংবাদপত্রও। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল দিনটিতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলোও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) যথাযথ মর্যাদায় পালনে বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
Discussion about this post