নিজস্ব প্রতিবেদক
কারিগরি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে দু’তিনদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত আসছে।দেশে মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আটকে যাওয়া এই পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেয়া হবে তাও শিগগিরই জানিয়ে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ হোসেন মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা শিক্ষামন্ত্রীর হাতেই রয়েছে।
জানা গেছ, চলতি বছরের জুনে কারিগরি বোর্ডের অধীন পলিটেকনিক কলেজগুলোতে ২, ৪, ৬, ৮ সেশনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে একাধিক জেলায় ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা অটো পাসের দাবিতে মানববন্ধন করেন।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, কারিগরি শিক্ষার্থীদের পাঠ কার্যক্রম হাতে-কলমে অনুষ্ঠিত হয়। অটো পাস কিংবা অন্যভাবে মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে ডিপ্লোমা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনো কারিগারি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। দ্রুত ক্লাস শুরু ও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। পরীক্ষা শুরুর আগে তাদের দুই থেকে তিন মাস ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হোক। না হলে জটিল সমস্যায় পড়বেন তারা।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এইচএসসির ক্ষেত্রে আমরা অনেক মাস অপেক্ষা করেছি, তারপর বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কিন্তু যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কারিগড়িতে আছে তাদের বিষয়টা ভিন্ন। কারণ এটি তাদের চূড়ান্ত একটি পরীক্ষা। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা না হলে পরবর্তীতে চাকরি বা কর্মসংস্থানে তাদের সমস্যা হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই জায়গায় পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করাটা মনে হয় না সঠিক হবে। পরিস্থিতি যা আমরা এখনো মনে করছি, পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে। যেহেতু এইচএসসির তুলনায় কারিগরিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক কম, সেহেতু পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের এই পরীক্ষা আমরা নিয়ে নিতে পারব।’
Discussion about this post