জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে যাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ক প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) শেষ কর্ম দিবসে প্রাথমিকের সদ্য বিদায়ী সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৬৫ হাজার ৬২০টি পদে কর্মরত সহকারি শিক্ষকদেরই নিয়োগ দেয়া হবে।
মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমি চলে যাচ্ছি, যিনি আসবেন তিনি ফলোআপ করবেন। দ্রুত বিষয়টি সম্পন্ন করবেন নিশ্চয়।’
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করোনার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক মেটাতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা ছাড়াও প্রশাসনিক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নতুন করে পদ ১ লাখ ৬৯ হাজার ১২৪ জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এর মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ৬৫ হাজার ৬২০টি, সঙ্গীত শিক্ষকের পদ রয়েছে ২ হাজার ৫৮৩টি, শারীরিক শিক্ষকের পদ রয়েছে ২ হাজার ৫৮৩টি এবং ৯৮ হাজার ৩৩৮টি পদ রয়েছে সাধারণ শিক্ষকের। এসব পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, এর আগে দেশের ১ লাখ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জন্য প্রধান শিক্ষকসহ মোট ২৭ হাজার ৯৫৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ ৩১৮টি, সহকারী শিক্ষকের পদ ১ হাজার ২৭২টি এবং প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ২৬ হাজার ৩৬৬টি।
এসব পদের বিপরীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ১ লাখ ৬৯ হাজার ১২৪ জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পর অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে তৈরি নতুন পদে শিক্ষক নিয়োগের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে মন্ত্রণালয়। তবে এই প্রক্রিয়ায় কোনও জটিলতা তৈরি না হলে এবং দ্রুত সম্পন্ন হলেও আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। কারণ এতে সরকার আর্থিক বড় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়াটাও কিছুটা সময় সাপেক্ষ।
Discussion about this post