বিশেষ প্রতিবেদক
প্রাথমিক শিক্ষায় অবদানে ২০১৯ সালে জাতীয় পর্যায়ে সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হলেন সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইয়াসমিন নাহার রুমা।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছ জ্ঞাপন করেন।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৯ অর্জন করেছেন গৌরীপুরের কন্যা ইয়াসমিন নাহার রুমা। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের মোঃ মগবুল হোসেন মাস্টারের কন্যা। তিনি সুনমাগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ইউএনও হিসেবে এ পদক পেয়েছেন। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন, ঝরেপড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে নেয়া, পুষ্টিহীন মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা, শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে অসামান্য অবদানের জন্য গত সোমবার (২ নভেম্বর-২০২০) শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে এ সম্মাননা পদক পেয়েছেন।
ইয়াসমিন নাহার রুমা ৩১তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সহকারি কমিশনার হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রথম যোগদান করেন। এরপর কাজ করেন সহকারী কমিশনার হিসাবে সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে কাজ করেন বিজয়নগর উপজেলায়।
ইয়াসমিন নাহার রুমা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০১৮সালের ২১ অক্টোবর যোগদান করেন। দুই বছরে এ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, শিশুদের খেলাধূলা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য শিশু ও অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধকরণ, কাব স্কাউট গঠন, ঝরেপড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে নেয়া, পুষ্টিহীন মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা, শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে অসামান্য অবদানের জন্য সারাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদকে ভূষিত হন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ মকবুল হোসেনের ৫ কন্যা ও ১ পুত্রের মাঝে ৪র্থ। বারুয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক, বারুয়ামারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হন তিনি। পরে তিনি মুমিনুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যয়ন করেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি দুই কন্যার জননী।
Discussion about this post