নিজস্ব প্রতিবেদক
স্নাতক শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালাবদ্ধ করলে প্রশাসনিক দায়িত্বে শিক্ষকসহ ,কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেয়া হয়। তবে এর আগে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। আজকের মতো বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বলে জানা গেছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এরমধ্যে দাবি মানা না হলে আগামীকাল থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মানবন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও এখনো আমাদের ব্যাপারের কোন সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানায়নি কর্তৃপক্ষ। গত ১ তারিখে অবস্থান কর্মসূচিতে রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও এডভাইজার স্যারের উপস্থিতিতে আমাদের নভেম্বর ৪ তারিখে সিন্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেয়া হলেও আমরা এখনো ফলপ্রসু কোন সমাধান পায়নি। এজন্য আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ভিসি স্যারের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা শুরু থেকেই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের অনুরোধ করে আসছি কিন্তু প্রশাসন এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার রুটিন প্রকাশ করেছে, অনেকেই পরীক্ষা শেষও করেছে। তাঁদের সমস্যা না থাকলে আমাদের এখানে সমস্যা কোথায়?
তারা আরও বলেন, আবাসিক হলসমূহ খুলতে যদি সমস্যা থাকে তাহলে আমরা মেসে বা বাসা থেকে পরীক্ষা দিতে রাজি আছি। এমনকি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমাদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হলে সে দায়ও আমরা নিতে রাজি আছি। তবুও পরীক্ষা নিয়ে আমাদেরকে বের করে দেয়া হোক। আমরা আর এভাবে ঝুলে থাকতে চাইনা। পরীক্ষা গ্রহণের জন্য যে ধরণের সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা প্রশাসনকে তাঁর সব সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, পরীক্ষার বিষয়টি একাডেমিক তাই বিষয়গুলো স্ব-স্ব অনুষদের ডিনরা দেখবেন। শিক্ষার্থীরা ডিনের কাছে যাবে এবং ডিন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখাসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে জানাবে।
তিনিও আরও জানান, সরকার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিকে জোর দিচ্ছে। সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও পরীক্ষার বিষয়ে আন্তরিক। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা পেলে আমরা পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত আছি।
Discussion about this post