চবি প্রতিনিধি
আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘৫৪তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের উন্নতর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে সামিল করতে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান-গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অধিকতর মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
করোনায় অনলাইন পাঠদানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তার কথা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, করোনাকালীন এ সময়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম সচল রাখতে অনলাইনে ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও অনলাইন ক্লাসে অংশনেয়ার সুবিধার্থে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের প্রতিমাসে সাশ্রয়ীমূল্যে ১৫জিবি ডাটা প্রদান করা হচ্ছে।
উপাচার্য আরো বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নত বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে সামিল করতে জ্ঞান-গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের সাথে সাথে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অধিকতর মানোন্নয়নের কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রমে অংশ নিয়ে পঠন-পাঠনে অধিকতর মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে করোনাকালীন এ সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ফাইন্যান্স কমিটির সদস্যবৃন্দ, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ ও ওয়ার্ডেন, বিভাগীয় সভাপতি এবং ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা’র পরিচালক, শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি-কর্মচারী সমিতি-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
Discussion about this post