চবি প্রতিনিধি
করোনায় আটকে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা নিতে কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরের এই বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টার, প্রক্টর ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর পৃথক চারটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ার কারণে কয়েকটি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর মাঝপথেই থেমে যায়। আবার কিছু বিভাগে শুধুমাত্র দুই-একটি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া বাকি রয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও প্রতিটি বিভাগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরণের অফিসিয়াল নোটিশ পাঠানো হয়নি। প্রশাসনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে নোটিশ পৌছানোর পরেই বিভাগগুলো স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেবে বলে শিক্ষার্থীদেরকে আশ্বস্ত করেছে।
এই আটকে থাকা পরীক্ষাগুলোর কারণে আমরা এসব চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আর এর ফলে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা আমাদের বেশীরভাগ শিক্ষার্থীকেই চরম হতাশা ও মানসিক অশান্তির মধ্য দিয়ে প্রতিটি দিন পার করতে হচ্ছে।
আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশা করছি, আপনার মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোতে স্থগিত পরীক্ষাগুলো সরাসরি বা অনলাইনে বা অন্য যে কোনো উপায়ে নেয়ার ব্যাপারে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে নোটিশ পাঠানো হবে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই নোটিশ পাঠানো না হলে আমরা সামনের দিনগুলোতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
এ বিষয়ে চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আতিকুর রহমানবলেন, শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছে বলে শুনেছি। ওই সময় আমি অফিসে না থাকায় বিস্তারিত বলতে পরছি না।
Discussion about this post