বিশেষ প্রতিবেদক
আজ বৃহস্পতিবার(৩ ডিসেম্বর) ২৯তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২২তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০২০ । এ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল প্রতিবন্ধী, তাদের পরিবার এবং প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রতিবন্ধীদের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের জনগণ, সংশ্লিষ্ট সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দেশি-বিদেশি সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা জাতির বোঝা নয়, সম্পদ। সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নানাবিধ কাজের সাথে সম্পৃক্ত করে তাদের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধশীল জাতি বিনির্মাণে সরকার বদ্ধপরিকর।
সে লক্ষ্যে সরকার প্রতিবন্ধীদের সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ, ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান, প্রতিবন্ধীবান্ধব গণস্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বহুবিধ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ রাষ্ট্রের সকল মানুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করেছেন। সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদের শাসনামলে এদেশের প্রতিবন্ধী জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য বিভিন্ন আইন/বিধি/নীতিমালা/কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এরমধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩; নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন, ২০১৩; বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৯; প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯ এবং প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা, ২০১৯ প্রণয়ন অন্যতম বলেন তিনি।
Discussion about this post