বিশেষ প্রতিবেদক
“সরকার নারী শিক্ষা ও তাদের কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি চায় এবং এ জন্য ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে”।
আজ বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সমাজ ও দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে এবং দেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত। আমরা এ লক্ষ্য সামনে রেখেই ব্যাপকভাবে কাজ করছি। সরকার সারাদেশে এমনকি কর্মজীবী নারীদের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হোস্টেল নির্মাণ করছে যাতে তারা ভালো আবাসন পেতে পারে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে, নারীরা সুরক্ষিত স্থানে থেকে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতনকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে অভিহিত করে তিনি দেশে এই সামাজিক সমস্যাগুলো বন্ধে দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করে বলেন, ইতিমধ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নারী, পুরুষসহ সবাইকে সমানভাবে অংশ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “একটা সমাজের অর্ধাংশ নারী। সমাজ উন্নত করতে হলে সেখানে নারীদের সমানভাবে তৈরি করতে না পারলে সেই সমাজ কীভাবে গড়ে উঠবে? সমাজের অর্ধাংশ নারীদের যদি এগোতেই না দেই, তাহলে কী করে একটা সমাজ দাঁড়াতে পারে। সমাজকে তো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে হবে। ”
নারীদের সামনে এগিয়ে নিতে সরকারের আন্তরিকতা ও বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমাদের মেয়েরা অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা চাই আমাদের দেশের মেয়েরা সমানভাবে এগিয়ে যাক। কারণ বেগম রোকেয়াই আমাদের পথ দেখিয়ে গেছেন। ”
বেগম রোকেয়া তৎকালীন সমাজের নারীদের আলোর পথ দেখিয়েছিলেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তিনি (বেগম রোকেয়া) সমাজে একটা বিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন। অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে তিনি এই দেশের নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে আসেন এবং তাদের শিক্ষায় আলোকিত করেন। ”
বেগম রোকেয়ার লেখা উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, “বেগম রোকেয়া বলতেন, কন্যাগুলিকে সুশিক্ষিত করিয়া কার্যক্ষেত্রে ছাড়িয়া দাও। নিজের অন্ন-বস্ত্র উপার্জন করুক। ”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কষ্ট করেই তিনি (বেগম রোকেয়া) শিক্ষার আলোটা জ্বালিয়ে দিয়ে যান আমাদের জন্য। যার জন্য আজ আমরা বলতে পারি, আমরা মেয়েরা অনেক সুযোগ পেয়েছি। ”
তিনি বলেন, এ ছাড়াও সংসদ নেতা, স্পিকার ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা, বাংলাদেশে সবাই নারী, যা বিশ্বের এক উদাহরণ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার যা প্রথমবারের মতো নারী কর্মকর্তাদের সচিব, বিচারক, ডিসি, এসপি এবং ওসি পদে নিয়োগ দিয়েছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোকেয়া পদক-২০২০ প্রদান করেন। এসময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও সচিব কাজী রওশন আক্তার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। বেগম মুশতারী শফি পদকপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন।
Discussion about this post