নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার পূর্বে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরনের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
পরীক্ষা শুরুর পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-মাস্টার্সের পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানাচ্ছে। কিন্তু হল বন্ধ রেখে যে পরীক্ষা পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী মানে না। কারণ দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে পড়তে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হল ছাড়া থাকার কোন নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা নেই। তার উপর দীর্ঘদিন থেকে ঢাকার বাইরে থাকার কারণে বাড়তি অনিশ্চয়তা তো থেকেই যায়।
তারা বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের থাকার একমাত্র জায়গা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো। পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থীরা নিজেরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে জানিয়ে বক্তারা বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে; সেহেতু বলাই যায় এ ফর্মেটের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হওয়ার কথা নয়। সুতরাং, এসব শিক্ষার্থীরা সামাজিকভাবে যথেষ্ট সচেতন এবং তারা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভালোভাবেই বোঝে। এসব শিক্ষার্থীদের জন্য হলগুলো খুলে দিলে তারা নিজেদের মত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করে পরীক্ষা দিতে পারবে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনার্স শেষবর্ষ ও মাস্টার্স-এর পরীক্ষাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিভাগ/ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার সময়সূচি জানতে পারবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে প্রয়োজনে পরীক্ষাসমূহ তুলনামূলক কম বিরতিতে বা একইদিনে দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময়কাল হবে বিদ্যমান নির্ধারিত সময়ের অর্ধেক। একইভাবে ল্যাব-কেন্দ্রিক ব্যবহারিক পরীক্ষাসমূহ নেয়া হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও হল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত তাদের ব্যর্থ প্রশাসনিক কাঠামোর-ই একটি অংশ। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান শিক্ষার্থীরা।
Discussion about this post