নিউজ ডেস্ক
আজ (১২ ডিসেম্বর) চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২০। ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
আজ সেই হিসাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের একযুগ পূর্তির দিন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও আধুনিক চিন্তা ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকে উদ্ভূত ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নের ১২ বছর পূর্ণ হলো আজ।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ৭টায় আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল ১০টায় চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটরিয়ামের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উদ্বোধন ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত থাকবেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইসিটি বিভাগের অধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা এবং এটুআই প্রোগ্রাম গত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। প্রণয়ন করেছে আইন, নীতিমালা, বিধিমালা ও স্ট্র্যাটেজি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিজ্যুয়াল কালার ভার্সন এবং বিশ্বসেরা এই ভাষণের ২৬টি নির্বাচিত বাক্য দেশের ২৬ জন খ্যাতিমান লেখকের দ্বারা বিশ্লেষণ করিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল ভার্সনে (মোবাইল অ্যাপ ও ই-বুক) রূপান্তর।
জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের হলোগ্রাফিক প্রোজেকশন রূপান্তর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘মুজিব হান্ড্রেড’ ওয়েবসাইট এবং মুজিববর্ষ লোগো তৈরি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১২ মে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যালোইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের এলিট ক্লাবের সদস্য হওয়া বড় অর্জন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু আওয়ামী লীগের নয়, ১৭ কোটি মানুষের। ঘরে ঘরে প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের জনগণ করোনা মহামারিতেও সংযুক্ত থাকতে পেরেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত, সরবরাহ ব্যবস্থা এমনকি বিচারিক কাজ সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
Discussion about this post