জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
আজ সেই ১৪ ডিসেম্বর।১৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশনা ও মদতে একশ্রেণির দালালরা এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করার এই নীলনকশা প্রণয়ন করে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। পাকবাহিনীর অস্ত্র সহায়তা নিয়ে তাদেরই ছত্রছায়ায় আধাসামরিক বাহিনী আলবদরের ক্যাডাররা এই বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে।
বিজয়ের প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১৪ তারিখ সেই নীলনকশা বাস্তবায়ন করে হানাদার বাহিনী। তবে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের কালরাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার পক্ষের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার শিকার হতে হয়েছিল। সব বুদ্ধিজীবীকে স্মরণ করতে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। তবে এবার করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।
মিরপুর ও রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বরাবরের মতোই আজ সকাল থেকে নামবে অগণিত মানুষের ঢল। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা, সর্বস্তরের মানুষ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন, বিশেষত নতুন প্রজন্মের বাঙালিরা গভীর শ্রদ্ধা ও বিনয়ে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবেন স্মৃতিসৌধের বেদিতে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ।
সকাল ৯টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। সকাল ১০ টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহের সব স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সকাল ৯টায় বাংলাদেশ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে মিরপুর বৃদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
Discussion about this post