খেলাধূলা ডেস্ক
২১১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। দুর্দান্ত বোলিংয়ে চট্টগ্রামের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। দুই ওপেনারকে হারিয়ে উইকেটে লড়ছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
চট্টগ্রামের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৬৪ রান। জয়ের জন্য ৭৯ বলে ১৪৭ রান দরকার চট্টগ্রামের। উইকেটে আছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মোহাম্মদ মিঠুন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২১০ রান করে জেমকন খুলনা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন জহুরুল।
এদিন ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু করে খুলনা। দুই ওপেনারের ব্যাটে প্রথম জুটিতে তোলে ৭১ রান। এর মধ্যে অবশ্য জহুরুলেরই বেশি অবদান। ৭১ রানের মধ্যে ৫৩ রানই ছিল তাঁর। ৩৩ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি।
তিনে ব্যাট করতে নামা ইমরুল কায়েসকে থিতু হতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল, সেখানে ছিলেন ফিল্ডার মাহমুদুল। সহজেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন তিনি। ১২ বলে ২৫ করে ফেরেন ইমরুল।
সতীর্থরা ফিরলেও ভালোভাবেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জহুরুল। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ৮০ রানের মাথায় জহুরুলের ঝড় থামান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৫১ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচ বাউন্ডারি ও চার ছক্কা।
জহুরুল ফেরার পর জুটি বাধেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। ব্যাটিংয়ে নেমেই ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ। শরিফুলের করা এক ওভারে পরপর তিন ছক্কা হাঁকান খুলনা অধিনায়ক। মাত্র ৯ বলে স্কোরবোর্ডে ৩০ রান তোলেন তিনি। আরো ভয়ংকর হওয়ার আগে সঞ্জিত সাহা থামান খুলনা অধিনায়ককে।
পরে সাকিব-আরিফুলদের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ওভারে ২১০ রানে থামে খুলনা। ১৫ বলে ২৮ রান করেন সাকিব। চলতি টুর্নামেন্টে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান।
Discussion about this post