আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে জো বাইডেনকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির ইলেকটোরাল কলেজ। ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটরদের বৈঠকের পর স্থানীয় সময় সোমবার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সে সময় যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক জয়ের পর উচ্ছ্বসিত বাইডেন বলেন, জনগণের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মার্কিন গণতন্ত্র প্রচণ্ড চাপ, নানা ধরনের পরীক্ষা ও হুমকির মধ্যে ছিল। কিন্তু সব কিছু ছাড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা এবং শক্তি প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর থেকেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফল আসতে শুরু করে এবং জো বাইডেনের জয়ের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু শুরু থেকেই বাইডেনকে জয়ী বলতে নারাজ ছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এবারের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন। এমনকি তিনি এও দাবি করেছেন যে, এবারের নির্বাচন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বিশৃঙ্খল নির্বাচন।
শুধু মুখে বলেই ক্ষান্ত হননি ট্রাম্প। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে তার নির্বাচনী প্রচারণা শিবির ভোটের ফলাফলের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। যদিও সেখানে বড় ধাক্কা খেয়েছেন ট্রাম্প। কোনো মামলায় তিনি জয়ী হননি বরং এসব মামলাগুলো আদালত খারিজ করে দিয়েছে। সর্বশেষ তার প্রচারণা শিবিরের দুই মামলা সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়েছে। নির্বাচনে জো বাইডেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে জয়ী হয়েছেন। অপরদিকে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট পেয়েছেন ২৩২টি।
সোমবার রাতে ডেলওয়ারের উইলমিংটন থেকে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, গণতন্ত্র বজায় থেকেছে, জনগণ ভোট দিয়েছে…. আমাদের নির্বাচনের অখণ্ডতা বজায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাতা বদলের এটাই সময়। তিনি আরও বলেন, আমাদের একত্র হতে হবে, পরিস্থিতি বদলাতে হবে। আমি সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হবো।’
Discussion about this post