জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ডিগ্রি স্তরে সমযোগ্যতা নিয়ে চাকরিতে যোগদান করলেও তৃতীয় শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিওভুক্তি নীতিমালায় বড় সুখবর পেতে যাচ্ছেন ডিগ্রি পর্যায়ের তৃতীয় শিক্ষকরা। প্রথমবারের মতো এ স্তরে দু’জনের পরিবর্তে তিনজন করে শিক্ষক এমপিওভুক্ত হবেন। জনবল কাঠামোর মধ্যে না থাকায় ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় শিক্ষকরা চরম বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছিলেন। এছাড়া এতদিন বিনা বেতনে অথবা নামমাত্র বেতনে শিক্ষকতা করছিলেন তারা।
সূত্র জানায়, জনবল কাঠামো ও এমপিওভুক্তির নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনের কাজ শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (মাউশি) এমপিওভুক্তির আবেদন আহবান করবে। জানা গেছে, ডিগ্রি স্তরে সমযোগ্যতা নিয়ে চাকরিতে যোগদান করলেও তৃতীয় শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না।
নতুন সংশোধনীর ফলে দেশের সহস্রাধিক কলেজ শিক্ষকের ভাগ্য খুলবে, এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবেন তারা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে পরামর্শ করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিওভুক্তি নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনে গঠিত কমিটি তাদের খসড়া চূড়ান্ত করবে। এরপরই তা প্রকাশ করা হবে।
নীতিমালা সংশোধন কমিটির আহবায়ক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশীদ আমিন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, জনবল কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় শিক্ষকদের। পাশাপাশি এমপিওভুক্তির নীতিমালায় প্রয়োজনীয় কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হচ্ছে। এতে গ্রাম ও শহরের জন্য ভিন্ন পাসের হার নির্ধারণ হবে। এ ছাড়া নীতিমালা আরও সহজ করা হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বেসরকারি কলেজে ডিগ্রি পড়াতে কমপক্ষে তিনজন শিক্ষক থাকতে হবে। আর অনার্স পড়াতে চারজন শিক্ষক লাগে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি বিষয়ে মাত্র দু’জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারেন। এরমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জন্য একজন, ডিগ্রিস্তরের জন্য একজন রয়েছেন। আর তৃতীয় শিক্ষকের বেতন-ভাতা কলেজ থেকে পরিশোধ করতে হয়। এতে তৃতীয় কলেজ শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা এমপিওভুক্তি পেতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন।
Discussion about this post