নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে । তবে বিজয় দিবসের আয়োজিত ব্যানারে শোভা পেয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও ভাষা শহীদদের স্মৃতিতে নির্মিত শহীদ মিনারের ছবি। যা ক্যাম্পাস ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, শহীদ মিনার বাংলাদেশের চেতনার অংশ হলেও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তার ছবি বেমানান। কেননা সেটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
জানা যায়, বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অংশ নেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
কিন্তু এই আলোচনা সভার ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, শহীদ মিনার বাংলাদেশের চেতনার অংশ হলেও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তার ছবি বেমানান। কেননা সেটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
উক্ত আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, প্রক্টর-সহকারী প্রক্টরবৃন্দ ও ডিনবৃন্দসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, শহীদ মিনার আমাদের ইতিহাসের একটা অংশ। কিন্তু সেটা স্বাধীনতা সংগ্রামকে প্রতিফলিত করেনা। মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের স্মৃতি হিসেবে স্মৃতিসৌধ রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবিটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। কিন্তু এটি মানানসই না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই ব্যানারটি তৈরির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, এর আগেও শহীদ মিনারের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আগের ধারাবাহিকতায় এই ব্যানারটি তৈরি করেছি। বিশেষ করে দেশের অনেক জায়গাতেই স্মৃতিসৌধ না থাকায় বিজয় দিবস উদযাপন করা হয় শহীদ মিনারেই। তবে আমরা এটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি, আগামীতে আর এমনটা হবে না আশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আতিকুর রহমান বলেন, ব্যানার তৈরির সময় আমাদেরকে দেখানো হয়নি, ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ভুলটা হয়ে গেছে।
Discussion about this post