বিনোদন ডেস্ক
গত তিন মাস ধরে হাসপাতাল আর বাসায় আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছেন চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন দেশের বাইরেও।
তখন করোনা আক্রান্ত না হওয়ার পরও জ্বর কমছিল না তার। তাই এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালেও নেওয়া হয় ফারুককে। তবে এতেও তার রোগ চিহ্নিত করা না গেলে, উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখান ফারুকের টিবি (যক্ষ্মা) ধরা পড়ে। পরে সেখানে দীর্ঘ দেড় মাস চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে গত ২৯ অক্টোবর দেশে ফেরেন চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’। এরমধ্যে দেশে ও বিদেশে মিলিয়ে তার দশ থেকে বারোবার করোনা টেস্ট করা হয়।
এদিকে দেশে ফেরার পর ফারুকের শরীর আবার খারাপ হয়ে যায়। এরপর আবারও তার করোনা টেস্ট করানো হলে শেষ পর্যন্ত রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একবার মাত্র আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত ফারুকের ১৫ বার করোনা টেস্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর, বিদেশে যাওয়ার আগে, দেশে ফেরার আগে এবং দেশে ফেরার পর তার এই টেস্টগুলো করা হয়।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বলেন, আমার করোনা হয়েছে মাত্র একবার, কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ১৫ বারের মতো আমাকে করোনা টেস্ট করতে হয়েছে। সামনে আরও কয়েকবার করা হবে।
নিজের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, এখন আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। গতকাল ( রোববার, ২২ নভেম্বর) আমার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে কিন্তু সংক্রমণ বা শারীরিক অন্যান্য সব রিপোর্ট অনেক ভালো এসেছে।
এদিকে শুরু থেকে একেবারে ফারুকের সঙ্গে থেকে তার সেবা করছেন স্ত্রী ফারহানা ফারুক ও মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান তুলসি। এরইমধ্যে তার মেয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তবে শারীরিকভাবে সুস্থ তিনি। ফারুকের খুব কাছ থেকে সেবা করেও তার স্ত্রীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
ফারুক বলেন, এটা আসলে উপরওয়ালার খেলা। আমি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ফারহানা আমাকে রেখে এক মুহূর্তও দূরে ছিল না। কিন্তু আমি আক্রান্ত হলেও তার রিপোর্ট প্রতিবার নেগেটিভ এসেছে এবং সে আলহামদুলিল্লাহ্ সুস্থ আছে।
মেয়ে প্রসঙ্গে এই কিংবদন্তি বলেন, আমার একটা মাত্র মেয়ে। সে আমার কাছে অনেককিছু। এমন মেয়ে পাওয়া সব বাবার জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। নিয়মিত সে আমার সেবা করছে। ওর রিপোর্ট আগে পজিটিভ এসেছিল। তবে তার দ্বিতীয় পরীক্ষা করা হয়নি। কিন্তু সে একেবারে সুস্থ আছে। আমার মনে হয় নেগেটিভ হয়ে গেছে। ওর জন্য আমি অনেক অনেক দোয়া করছি।
Discussion about this post