শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড এবং প্রাথমিক পর্যায় হচ্ছে সব শিক্ষার প্রাণ। প্রাথমিকের শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। শিশুদের গড়ে তোলার প্রথম কাজটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্পন্ন হয় বলে উন্নত দেশগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।
সে দেশগুলোতে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতন-পদমর্যাদা এবং একজন প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন-পদমর্যাদার তেমন পার্থক্য নেই। বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দুই ধরনের শিক্ষক রয়েছেন: প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে পাঠদানের মূল কাজটি করেন সহকারী শিক্ষকেরা। সহকারী শিক্ষকেরা সফল ও আন্তরিক হলে প্রাথমিক শিক্ষা সফল; তারা ব্যর্থ হলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যর্থ। সহকারী শিক্ষকদের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই তো তিনি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতনের কোনো পার্থক্য রাখেননি। অথচ বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতন গ্রেডের পার্থক্য চার ধাপ। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন দশম গ্রেডে (১৬০০০ টাকা স্কেলে, কোর্টের রায় অনুসারে যেহেতু বকেয়াও পাবেন) এবং সহকারী শিক্ষকেরা বেতন পান ১৪ নং গ্রেডে (১০২০০ টাকা স্কেল)।
সহকারী শিক্ষকেরা বহু দিন ধরে এই বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেডে (১১তম) তাদের বেতন নির্ধারণের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। সরকার তাদের দাবি যৌক্তিক বলে স্বীকার করলেও আজো বৈষম্য নিরসন করা হয়নি। তাই সহকারী শিক্ষকেরা তাদের শিগগিরই ১১তম গ্রেড দেয়ার মাধম্যে বৈষম্য নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
মাহফিজুর রহমান মামুন , সহকারী শিক্ষক, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
Discussion about this post