নিজস্ব প্রতিবেদক
চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) এক বৈঠকে মিলিত হয়ে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা এ সম্মতি জানিয়েছেন। তবে এদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থাকবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জানান, এই আয়োজনে সম-অংশীদারিত্ব নিশ্চিতের ভিত্তিতে বুয়েটের দরজা সব সময় খোলা থাকবে। অর্থাৎ চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মিলে সম-অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরীক্ষার আয়োজন করা হোক— সেটাই চাওয়া চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, আজ রাজধানীতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার ১ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে চুয়েট, রুয়েট ও কুয়েট এবার গুচ্ছ পরীক্ষায় সম্মতি জানিয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি কে হবেন, পরীক্ষার মানবন্টন প্রভৃতি করণীয় ঠিক করতে একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পরীক্ষার জন্য একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে, সেখানে ইউজিসি থেকেও প্রতিনিধি থাকবে— এসব আলোচনা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
পরীক্ষার ধরন ও মানবন্ধন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আগে যেভাবে হতো সেটাই থাকবে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে লিখিত টাইপের। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষার কেন্দ্র হবে। যেমন— রাজশাহীর পরীক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র হবে রুয়েট ক্যাম্পাসে ।
জানতে চাইলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, বৈঠকে আমি ছিলাম না। তবে আমাদের প্রতিনিধি ছিলেন।
তিনি বলেন, বুয়েট আগের সিদ্ধান্তে আছে। এতে তারা একক নেতৃত্ব এবং একক কর্তৃত্ব চাই। পরীক্ষার কেন্দ্র হবে ওদের ওখানে। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর একটি নির্দেশনা ছিল— শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে, যে যার জায়গাতে পরীক্ষা দেবে। যেমন-রাজশাহীর পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র হবে রুয়েটে। কিন্তু এখন বুয়েট শুধু তাদেরও ওখানে পরীক্ষা নিতে চায়। আর সব সময়ও নেতৃত্ব চায় তারা। বুয়েটকে আমরা অনার করি, তারা আমাদের সঙ্গে আসুক সেটাই চাই। তবে সম-অংশীদারিত্ব ভিত্তিতে নেতৃত্ব থাকতে হবে। বুয়েট না আসলে ৩ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
আজকের বৈঠকে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকে নীতিমালা তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে পরীক্ষার ধরন (লিখিত) আগের মতোই থাকবে। আর পরীক্ষার কেন্দ্র তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে। আর বুয়েট আসলে চারটা হবে।
গুচ্ছ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে আজকে ১ম বৈঠক করেছি, সেখানে চুয়েট, রুয়েট ও কুয়েট— তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পরীক্ষায় সম্মতি জানিয়েছে।তবে পরীক্ষা পূর্বের ন্যায়ই লিখিত থাকবে, নাম্বার বিভাজনের বিষয়গুলো উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের পর জানানো হবে। আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, আজকের বৈঠকে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে আলোচনা করে কাল-পরশুর মধ্যে আবারও বৈঠক হবে।
Discussion about this post