জাহিদুল ইসলাম সানি। ক্যাম্পাসের চেনা নাম, প্রিয় মুখ হিসেবে বেশ পরিচিত। পড়াশোনা করছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন দেশীয় বিভিন্ন অঙ্গনে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও চিনিয়েছেন নিজেকে। অর্জনের খাতায় আছে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বেশ কিছু পুরস্কার।
সানি রোটারেক্ট অঙ্গনেরও পরিচিত মুখ। বিশ্বের বৃহৎ যুব সংগঠন রোটারেক্ট এর সদস্য। তাকে এই অঙ্গনের তারকা বলা চলে। রোটারি আন্তর্জাতিক জেলা-৩২৮১ বাংলাদেশে অবদান রাখছেন নিয়মিত। সংগঠনের হয়ে ‘রোটাসিয়া-২০২০ কনফারেন্স’ এ অংশ নিতে চলতি মাসের ২০ ফেব্রুয়ারি ভারত যাচ্ছেন তিনি। কনফারেন্সে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের রোটারি কালচারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন।
সানি রোটারেক্ট অঙ্গনে আছেন প্রায় এক বছর। এক বছরেই প্রাপ্তির খাতায় অনেক সাফল্য তার। প্রথম বছরেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের ৩ টি পদক তার দখলে। ৩৬ তম রোটারেক্ট কনফারেন্সে হয়েছেন মিঃ কনফারেন্স। রোটারি ইয়ুথ লিডারশীপ এওয়ার্ডে তার নেতৃত্ব প্রদর্শনের জন্য পেয়েছেন সর্বোচ্চ পদক রাইলা (জণখঅ) বেস্ট ক্যাম্পারসহ আরও ৫ টি পদক। পেয়েছেন ২০১৮-১৯ রোটারি বর্ষের বেস্ট প্রমেসিং রোটারেক্টর এওয়ার্ড। আর এই সাফল্য গুনেই ২০১৯-২০ রোটারি বর্ষের ডিসট্রিক্ট ব্যান্ড প্রমোশন কমিটির মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মূলত পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সানি। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তার দক্ষতা আছে। আধুনিক নাচেও দেখিয়েছেন সফলতা। অন্যদিকে রোটারেক্ট এ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। এ প্রসঙ্গে জাহিদুল ইসলাম সানি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা মানে কিছুটা হলেও সময়ের সঙ্গে মিলে জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানো। আমার লক্ষ্য হচ্ছে রোটারেক্ট অঙ্গনে থেকে আত্মনির্ভরশীল হওয়া এবং আত্মোন্নতি করার পাশাপাশি দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলময় কিছু করা।
Discussion about this post