অনলাইন ডেস্ক
কোভিড-১৯-এর বেশি সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন ‘ভ্যারিয়েন্ট’ বা ধরনটি যুক্তরাজ্যে প্রথম দেখা দেওয়ার পর এখন বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশসহ কানাডা ও জাপানে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। সংবাদমাদ্যম বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, কানাডায় সম্প্রতি ভ্রমণ করেননি কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ কারো সংস্পর্শেও যাননি এমন এক দম্পতির শরীরে করোনা নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
তবে স্পেন, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও ফ্রান্সে যাদের শরীরে এই করোনা ধরা পড়েছে তাঁরা হয় যুক্তরাজ্য থেকে এসেছেন অথবা যুক্তরাজ্যফেরত কারো সংস্পর্শে ছিলেন।
করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি হওয়ায় গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাজ্য থেকে আগতদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারির হিড়িক পড়ে যায়।
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁদের দেশের সংক্রমণ নজরদারি পদ্ধতি শক্তিশালী হওয়ার কারণে হয়তো কোভিড-১৯-এর নতুন ধরনটি সেখানে প্রথম ধরা পড়েছে।
এদিকে, ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ একযোগে আজ রোববার থেকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু করছে। অন্যদিকে জার্মানির উত্তরপূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যকর্মীরা বিবিসিকে বলেছেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের অনুমোদিত টিকা বিতরণে আর একটি দিনও অপেক্ষা করতে চান না তাঁরা। জার্মানির একটি নার্সিংহোমের বয়োজ্যেষ্ঠদের দিয়ে টিকার প্রয়োগ শুরু করেছেন তাঁরা।
হাঙ্গেরির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির ডেল-পেস্ট সেন্ট্রাল হসপিটালের একজন চিকিৎসককে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁদের দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেয়েন ইউরোপজুড়ে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু উপলক্ষে টুইটারে একটি ভিডিওবার্তা ছেড়েছেন। সেখানে একে তিনি ‘একতার হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত’ বলে আখ্যা দেন।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় আজ রোববার সকাল পর্যন্ত আট কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৩৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হতে পেরেছে পাঁচ কোটি ৬৮ লাখ ৯৯ হাজার ২৫৮ জন।
Discussion about this post