শিক্ষার আলো ডেস্ক
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধকল্পে শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় বিদ্যালয়ের পরিবেশ, শিক্ষকদের আচরণ প্রভৃতি কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে নিরুৎসাহিত হয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পদ্ধতি আনন্দময় করতে হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের পরিবেশে যাতে শিক্ষার্থীরা আনন্দ পায় সেজন্য বিদ্যালয়ের ভবন, আঙিনাসমূহ আকর্ষণীয় করতে হবে। তিনি আরও বলেন, শিশুরা পড়ালেখায় পিছিয়ে থাকলে বা অমনোযোগী হলে তাদেরকে ভর্ৎসনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে তাদের মনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাদেরকে আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা প্রদান করতে হবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, শিক্ষকদের আচরণ দেখে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখে থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের সামনে প্রতিটি শিক্ষককে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। শিশুরা যা দেখে, সেটাই অনুকরণ করে। তাই তাদের সামনে কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা খাতকে আরও উন্নত করতে বর্তমান সরকার এই খাতে গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষাকে মানসম্মত করতে এবং শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবছর বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে। এই করোনা পরিস্থিতির মাঝেও যথাসময়ে কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বই বিতরণ করা হচ্ছে। যা শিক্ষাখাতকে উন্নত করতে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার প্রকাশ। কেউ যাতে শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য পৃথকভাবে পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে।
তিনি বলেন, শিশুদের আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি মননশীল বই পড়তে উৎসাহ দিতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মেহেরপুরকে শিক্ষাক্ষেত্রে মডেল অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরকেও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তাজুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। মেহেরপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলে রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
প্রতিমন্ত্রী এরপর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের উদ্বোধন করেন।
Discussion about this post