নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন (৮৫) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে রাজধানীর স্পেশালাইজড হসপিটালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
বাংলা সাহিত্যের বহুমাত্রিক লেখক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান।
জানা যায়, রোববার দুপুরের দিকে তিনি অসুস্থতা অনুভব করায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানই তিনি মারা যান।
রাবেয়া খাতুন এর জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার বিক্রমপুরে তাঁর মামার বাড়িতে। তার বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামে।
তিনি চার সন্তান ফরিদুর রেজা সাগর, কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলীসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
লেখালেখির পাশাপাশি রাবেয়া খাতুন শিক্ষকতা করেছেন। সাংবাদিকতাও করেছেন। এ ছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির কাউন্সিল মেম্বার। জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের গঠনতন্ত্র পরিচালনা পরিষদের সদস্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ডের বিচারক, শিশু একাডেমির কাউন্সিল মেম্বার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘নতুন কুঁড়ি’র বিচারক।
রাবেয়া খাতুন সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় সফলভাবে বিচরণ করেছেন। উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতে তার অবদান অসামান্য।
তাঁর রচিত উপন্যাসের মধ্যে- মধুমতী, সাহেব বাজার, রাজারবাগ শালিমারবাগ, ফেরারী সূর্য, দিবস রজনী, সেই এক বসন্তে, বায়ান্ন গলির একগলি, ই ভরা বাদর মাহ ভাদর উল্লেখযোগ্য।
লেখালেখির জন্যে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। এর মধ্যে আছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার-১৯৭৩, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার -১৯৮৯, একুশে পদক-১৯৯৩, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ -১৯৯৪, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক-১৯৯৫, জসিমউদ্দিন পুরস্কার-১৯৯৬, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক-১৯৯৬, শাপলা দোয়েল পুরস্কার-১৯৯৬, টেনাশিনাস পুরস্কার -১৯৯৭, ঋষিজ সাহিত্য পদক-১৯৯৮, অতীশ দীপঙ্কর পুরস্কার-১৯৯৮, লায়লা সামাদ পুরস্কার -১৯৯৯, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৯, মিলেনিয়াম অ্যাওয়ার্ড -২০০০, টেলিভিশন রিপোটার্স অ্যাওয়ার্ড -২০০১, বাংলাদেশ কালচারাল রিপোটার্স অ্যাওয়ার্ড -২০০২, শেলটেক পদক- ২০০২ এবং মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার-২০০৫ ইত্যাদি।
Discussion about this post